Tamilnadu Newborn News: মোবাইলে ব্যস্ত নার্স। সরকারি হাসপাতালে কাজে চরম গাফিলতি। সদ্যোজাত খুদের সঙ্গে ভয়ানক ঘটনা তামিলনাড়ুতে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Tamilnadu Newborn News: ফোনে মগ্ন নার্স। হাতরে আঙুল কেটে তার মাশুল দিতে হল সদ্যোজাত খুদেকে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর ভেলোরে। জানা গিয়েছে, ভেলোর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নবজাতকের হাতের বুড়ো আঙুল ভুলবশত কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগ, একজন সিনিয়র নার্সের কাজে অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
সূত্রের খবর, ভেলোর হাসপাতালে নবজাতকের আঙুল কর্তন: অবহেলার অভিযোগ সিনিয়র নার্সের বিরুদ্ধে। ভেলোর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নবজাতকের হাতের বুড়ো আঙুল ভুলবশত কেটে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির বাবা-মায়ের দাবি, একজন সিনিয়র নার্সের অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৪ মে তামিলনাড়ুর মুল্লিপালায়মের বাসিন্দা বিমলরাজ (৩০) এবং নিভেথা (২৪) দম্পতি একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন। শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগ, গ্লুকোজের সুঁচ পরিবর্তনের জন্য শিশুর হাত থেকে টেপ সরাতে গিয়ে একজন সিনিয়র নার্স কাঁচি ভুলভাবে ব্যবহার করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নবজাতকের বুড়ো আঙুল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিশুর পরিবার।
এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে শোরগোল। সদ্যোজাতের বাবা বিমলরাজ অভিযোগ করেছেন, নার্সের ডিউটি চলাকালীন তিনি মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিলেন। এবং কাজে মনোযোগ ছিল না। যারফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমলরাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ''ঘটনার পর দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় আমাকে ওকে দেখতে দেওয়া হয়নি। এটা চরম অবহেলা।''
আঙুল কেটে যাওয়ার পর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত নবজাতককে চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি সরকারি হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য স্থানান্তরিত করে। এই ঘটনায় জড়িত নার্স, যার ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে, তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং নার্সের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং কর্মীদের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুব্বুলক্ষ্মী বলেছেন, "যদি প্রমাণিত হয় যে নার্স সেই সময় ফোনে ব্যস্ত ছিলেন, তাহলে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ওই প্রক্রিয়াটির জন্য কাঁচির প্রয়োজন ছিল না এবং খালি হাতেই তা করা যেত। আহত ওই সদ্যোজাত বর্তমানে চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


