সংক্ষিপ্ত
- রতন টাটার বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা
- মামলা তুলে নিতে চলেছেন নুসলি ওয়াদিয়া
- তাঁর অপসারণের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিলেন ওয়াদিয়া
- শীর্ষ আদালতের অনুরোধেই মীমাংসার পথে দু-পক্ষ
বিরাট স্বস্তি। রতন টাটার বিরুদ্ধে আনা ৩ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা তুলে নিতে চলেছেন নুসলি ওয়াদিয়া। সাইরাস মিস্ত্রির পুনর্বহাল নিয়ে অস্বস্তির মধ্য়েই বড়সড় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রতন টাটা।
কী ঘটেছিল?
সমস্য়ার সূত্রপাত বছর চারেক আগে। ২০১৬-তে সাইরাস মিস্ত্রিকে অপসারণ করার পরে সরিয়ে দেওয়া হয় নুসলি ওয়াদিয়াকে। ওই সময়ে টাটাদের তিনটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন ওয়াদিয়া। তারপরেই তিনি একটি ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন তিনি রতন টাটা ও অন্য় তিনজন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে একটি দেওয়ানি মামলাও করেন তিনি। মানহানির মামলা করে ৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চান তিনি। গত ৬ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুনানির সময়ে দু-পক্ষকেই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে টাটাদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া ওয়াদিয়াকে। তাতে বলা হয়, ওয়াদিয়ার সম্মানহানির কোনও ইচ্ছে ছিল না টাটাদের। তারপরেই প্রবীণ আইনজীবী সি সুন্দরমের মাধ্য়মে ওয়াদিয়া জানান, মামলা প্রত্য়াহার করে নিতে তিনি রাজি।
টাটাদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মানহানির মামলা করেছিলেন ওয়াদিয়া। একটি ফৌজদারি, অন্য়টি দেওয়ানি। টাটা কেমিক্য়ালস থেকে অপসারণের পর তিনি ৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপুরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন। সাইরাস মিস্ত্রিকও সমর্থন জোগান ওয়াদিয়া। সম্প্রতি মিস্ত্রিকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাতে স্বভাবতই অস্বস্তিতেই পড়েন রতন টাটা। কারণ, সাইরাসের অপসারণ নিয়ে বিবাদ কার্যত টাটার ইগোর লড়াইতে পরিণত হয়। আদালতের রায়ে তাই যথেষ্টই বিব্রত হন টাটা গোষ্ঠীর এমিরেটাস চেয়ারম্য়ান রতন টাটা। এই পরিস্থিতিতে নুসলি ওয়াদিয়ার মামলা প্রত্য়াহার করে নেওয়াটি টাটার কাছে নিঃসন্দেহে এক বড়সড় স্বস্তি বলেই মনে করা হচ্ছে।