সংক্ষিপ্ত
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডাকে সর্বদল বৈঠক
এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকের পরই অবস্য সুর চড়ালেন ওমর আবদুল্লা
কী বললেন তিনি
বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁর দিল্লির বাসভবনে জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে সকলকে কাশ্মীরের উন্নয়নের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বৈঠকের পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ওমর আবদুল্লা।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন কেন্দ্র এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে কোনও আস্থা আর নেই। আস্থা ফেরানোর দায়িত্ব কেন্দ্রেরই এবং এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির উচিত সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর জন্য, কেন্দ্রের গ্রহণ করা কাশ্মীরের 'স্বার্থবিরোধী' সব সিদ্ধান্তগুলি ফিরিয়ে নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরকে ফের একটি রাজ্য হিসাবে তার সম্পূর্ণ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য সূত্রের খবর, বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরি নেতাদের জানিয়েছেন, উপযুক্ত সময়ে উপত্যকাকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
সেইসঙ্গে, সব রাজ্যকে ছেড়ে কেন শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস কেন করা হচ্ছে, তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওমর আবদুল্লা। তাঁর দাবি, বৈঠকে অংশ নেওয়া জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় সব নেতাই শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অন্যান্য রাজ্যে, ২০২৬ সালে সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হবে। একমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে কেন এখন করা হবে? আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের দরকার নেই'।
এদিনের বৈঠকে উপত্যকার আটটি মূলধারার রাজনৈতিক দলের চোদ্দজন নেতা জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে আবার চারজন ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী - ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা, পিডিপি-র মেহবুবা মুফতি এবং কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল, অর্থাৎ বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর, কেন্দ্রের উদ্য়োগে এই জাতীয় সর্বদলীয় বৈঠক প্রথমবার আয়োজিত হল। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে উপত্যকা আপাতত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে রয়েছে।