সংক্ষিপ্ত

সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে ফেব্রুয়ারী মাসে। এই সময় প্রতিদিন দেড় থেকে ১.৮ লক্ষ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে।

ভারতে আঘাত হানতে পারে নতুন কোভিড তরঙ্গ (new Covid wave)। করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron) হাত ধরে এই নতুন তরঙ্গ আসতে চলেছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে (February 2022)। দেশে মহামারী ট্র্যাজেক্টোরি ট্র্যাক করার সূত্র মডেল সামনে রেখে এমনই মত দুই গবেষকের। মডেলটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আইআইটি কানপুরের মনীন্দ্র আগরওয়াল এবং আইআইটি হায়দ্রাবাদের এম বিদ্যাসাগর জানান যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে ফেব্রুয়ারী মাসে। এই সময় প্রতিদিন দেড় থেকে ১.৮ লক্ষ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে। তবে গবেষকদের মতে এটি ঘটতে পারে যদি নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটির মোকাবিলা প্রাকৃতিকভাবে বা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শরীরে থাকা ইমিউনিটি দিয়ে না করা যায়। 

গবেষকদের ধারণা দক্ষিণ আফ্রিকায় যেভাবে ওমিক্রন হানা দিয়েছে, ভারতেও সেই ছবিরই প্রতিফলন ঘটবে। ফেব্রুয়ারি মাসে যদি সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা হয়, তবে এক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড কেসের গড় সংখ্যা ১৫ ডিসেম্বর প্রায় ২৩ হাজারে পৌঁছেছিল। যা এখন ২০ হাজারের নীচে নেমে গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে।

আইআইটি অধ্যাপকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে জনসংখ্যার মিল এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতার মিলের কারণে দুই দেশের করোনা তরঙ্গের বিস্তারের মধ্যেও মিল থাকবে। 
ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তির বর্তমান হার বিবেচনা করা হলে ফেব্রুয়ারি থেকে ওমিক্রন ভীতি কমতে পারে। সমীক্ষা বলছে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসাথে দৈনিক কোভিড কেসের ৩৪ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাপী দৈনিক কোভিড মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্য দায়ী।

ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির মতে, ২০শে ডিসেম্বর দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫,০০০ ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ১২৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনে ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড ১৯। প্রতি সপ্তাহে ৬১শতাংশ করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তির হার বেড়েছে ৬ শতাংশ। তবে প্রাণহানির সংখ্যা ৫ শতাংশের একটু বেশি কমেছে।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ওয়েলকাম সেন্টার ফর হিউম্যান নিউরোইমেজিংয়ের অনুমান অনুসারে,ব্রিটেনে কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ হতে পারে। যদিও ৭ জানুয়ারীতে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ১২০০ (বর্তমান ৯১৯ থেকে) অতিক্রম করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৭ (বর্তমান ১১২ থেকে) পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।