- Home
- India News
- 8th Pay Commission: ২০২৬ এর কথা ভুলে যান, ২০২৭-এর আগে কোনও ভাবেই বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
8th Pay Commission: ২০২৬ এর কথা ভুলে যান, ২০২৭-এর আগে কোনও ভাবেই বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
সরকারি কর্মচারীরা ২০২৬ সালে বেতন বৃদ্ধির আশায় অষ্টম বেতন কমিশনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে, কমিশন গঠন এবং রেফারেন্সের শর্তাবলী এখনও মুলতুবি রয়েছে, যার ফলে বাস্তবায়নের সময়সীমা এবং সম্ভাব্য বেতন বৃদ্ধি সম্পর্কে বিলম্ব এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।

8th Pay Commission: 'নতুন বছর, ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন বেতন আসবে'... লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগী এই আশায় বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন।
সকলেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে অষ্টম বেতন কমিশন তাদের বেতনে বিশাল বাড়তে পারে। কিন্তু এখন যে খবর আসছে তা হতাশাজনক।
হ্যাঁ! অষ্টম বেতন কমিশনের ফাইলগুলি এখনও সরকারি অফিসগুলিতে ধুলোয় জমে আছে। এখনও পর্যন্ত কমিশন গঠন করা হয়নি বা টিওআর (টার্মস অফ রেফারেন্স) চূড়ান্ত করা হয়নি। অর্থাৎ, এখন ২০২৬ সালে নতুন বেতন (বেতন সংশোধন) পাওয়া কঠিন বলে মনে হচ্ছে।
কেন বিলম্ব হচ্ছে?
অষ্টম বেতন কমিশনের প্রথম ধাপ হল টিওআর তৈরি করা। এই টিওআর নির্ধারণ করে যে কমিশন কোন বিষয়গুলিতে পরামর্শ দেবে, এর সীমা কী হবে এবং কত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কিন্তু সরকার এই টিওআর নিয়ে চিন্তাভাবনায় ডুবে আছে। যতক্ষণ না এটি প্রস্তুত হয়, ততক্ষণ কমিশন গঠন করা যাবে না, কাজ শুরু করা যাবে না।
বর্ধিত বেতন কি ২০২৭ সালের মধ্যে আসবে?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, সরকার যদি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কমিশন গঠন করে, তবুও রিপোর্ট তৈরি করতে ১৫ মাস সময় লাগবে, অর্থাৎ রিপোর্টটি ২০২৭ সালের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আসবে।
এর পরে, রিপোর্টটি মন্ত্রিসভায় যাবে, এটি পাস হবে, তারপর নতুন বেতন কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ ২০২৭ সালের আগে কোনও বেতন বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে না।
কত বেতন বৃদ্ধি দেওয়া হবে?
সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ৩.৬৮ করা উচিত, যা সপ্তম বেতন কমিশনে ২.৫৭ গুণ ছিল। এই সংখ্যাটি দিয়ে মূল বেতন গুণ করা হয়।
কিন্তু এখন যে ইঙ্গিতগুলি আসছে তা খুবই চমকপ্রদ, কারণ মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অষ্টম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর মাত্র ১.৯২ থাকতে পারে। সরকার এটি পরিবর্তন করবে না। যদি এটি ঘটে, তাহলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে।
বকেয়া কি দেওয়া হবে?
এতে একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। সরকার যদি ২০২৭ সালে প্রতিবেদনটি বাস্তবায়ন করে, কিন্তু ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে এটি কার্যকর বলে মনে করে, তাহলে কর্মচারীরা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পুরো বকেয়া বেতন পেতে পারবেন।
এই টাকা এককালীন হিসাবে আসতে পারে। কিন্তু এটি তখনই সম্ভব যখন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেবে এবং এটি কমিশনের সুপারিশের উপর নির্ভর করবে।
টিওআর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
টিওআর ছাড়া কমিশনের অস্তিত্ব অসম্পূর্ণ। কর্মচারী ইউনিয়ন দ্রুত টিওআর চূড়ান্ত করার জন্য সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে। তারা বলছে।
এটি ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকেই বাস্তবায়ন করা উচিত এবং কোনও কর্তন ছাড়াই বকেয়া বেতন দেওয়া উচিত। টিওআর হল সেই কাঠামো যার উপর কমিশনের পুরো ভবন দাঁড়িয়ে আছে।
এরপর কী হতে পারে?
কর্মচারীদের এখন অপেক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত, কারণ সরকার ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কমিশন গঠন করতে পারে। প্রতিবেদনটি ২০২৭ সালে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে কার্যকর করা যেতে পারে, তবে বেতন ক্রেডিট ২০২৭ সালে করা হবে।

