সংসদে প্রাক্তন প্রধানবিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্য  তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সুর নরম  কেন্দ্রীয় সরকার  কৃষক আন্দোলন নিয়ে  মন্তব্য করেন তিনি  তীব্র কটাক্ষ করেন বাবুল সুপ্রিয় 

সোমবার সংসদীয় মন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধ স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ আনার কথা বললেও মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। সংসদে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও সুর নরম করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তাঁকে রীতিমত চড়া সুরেই আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনা করার সময় কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া দেশের বিচার ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেন। আর সেই প্রসঙ্গে তিনি টেনে এনেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকেও। পরে বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়েতও নিজের মতামত জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই তিনি সংসদে দেওয়া ভাষণের বেশ কিছু ইস্যু তুলে ধরেন। তিনি লেখেন বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় প্রবিত্রতা নেই। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার বিচার করেছেন। সেই থেকেই নষ্ট হয়েছে ভারচীয় বিচারব্যবস্থার পবিত্রতা। প্রধান বিচারপতির রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত হওয়ার বিষয়টিও উত্থাপন করেন। সংসদে দেওয়া ভাষণের নির্বাচিত অংশের ভিডিও টুইট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

রবীন্দ্রনাথের আসন বিতর্ক সংসদেও, অধীরের অভিযোগের সাফাই দিতে ছবি আর চিঠি পেশ অমিত শাহের ...

উহানের পরীক্ষাগারেও গিয়েছিল WHO-র প্রতিনিধিরা, পাওয়া গেল কি করোনার উৎস ...

Scroll to load tweet…


কেন্দ্রীয় সরকার মহুয়া মৈত্রের বিষয় নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে। তিনি মহুয়া মৈত্রর ভাষণ নিয়ে প্রকাশিত একটি খবরের কিছু অংশ সম্পাদনা করে লিখেছেন, লোকসভায় মহুয়া মৈত্রর দেওয়া ভাষণ এভাবে পড়তে হবে, মহুয়া মৈত্র রাজ্যের কথা বলেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে তাঁর স্বৈরতান্ত্রিক প্রধানের কথাই বলেছেন মৈত্র। 

Scroll to load tweet…


সংসদে মহুয়া আন্দোলনকারী কৃষকদের নিয়ে মন্তব্য করেন। সেখানেই তিনি বলেন দেশে অঘোষিত জরুরি ব্যবস্থা চলছে। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, মহুয়া মৈত্রের নিশানায় ছিলেন দেশের প্রাক্তন বিচারপতি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।