সংক্ষিপ্ত
- অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যে উত্তাল সংসদ
- দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা
- নেহেরু-গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষা
- পাল্টা নিশানা করলেন অধীর চৌধুরী
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সংসদের বাদল অধিবেশন। দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। কংগ্রেসসহ বিরোধী নেতৃত্বের তীব্র বিরোধিতায় এই প্রথম চলতি বদল অধিবেশন চার বার মুলতুবি হয়ে যায়। পর অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ক্ষমা চাইছে কিছুটা শান্ত হয় বিরোধী দল কংগ্রেসের সাসংদরা।
কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর পিএম কেয়ারস ফান্ড ইস্যুতে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এই তহবিলটিকে বৈধতা দিয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই তহবিলে শিশুরা যেমন তাদের সঞ্চিত অর্থ তুলে দিয়েছেন তেমনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের শিল্পপতিরা। আর এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন ১৯৪৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। ১৯৪৮ সালে তৈরি হওয়া এই তহবিলটি এখনও পর্যন্ত নিবন্ধিত করা হয়নি। তারপরই তাঁর প্রশ্ন কী ভাবে এটি বিদেশি অনুদান পেয়েছে। পিএম কেয়ারস ফান্ড একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, এটি১ ১৩০ কোটি মানুষের জন্য। এরপরই বিরোধীদের বিশেষত কংগ্রেস সাংসদের উদ্দেশ্যে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, কিন্তু আগে গান্ধী পরিবারের জন্যই ট্রাস্ট তৈরি হয়েছিল। নেহেরু থেকে সনিয়া গান্ধী জাতীয় ত্রাণ তহবিলের সদস্য ছিলেন। আর সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্যের পরই সুর চড়ান কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, হিমাচল প্রদেশের এই ছোকরা কে? পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন নেহেরু কী করে এই বিতর্কে আসলেন? কংগ্রেস কখনও কোনও বিতর্কে এইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম নেয় না। এরপরই কংগ্রেস তীব্র বিরোধিতা করে আর স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ওয়াকআউট করে। পাশাপাশি স্লোগান তোলে 'গোলিমারো মন্ত্রী পদত্যাগ করুন'। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি জনসভায় অনুরাগ ঠাকুর এই স্লোগান তুলেছিলেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। পরে হস্তক্ষেপ করেন স্পিকার। সমস্যা মেটানোর জন্য একটি বৈঠক করেন। তারপর আবারও শুরু হয় অধিবেশন। তারপরই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন অনুরাগ ঠাকুর।