সংক্ষিপ্ত

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর বিল আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   

 

'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলল। রামনাথ কোবিন্দ কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন করেছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এক দেশ এক নির্বাচনের  বিল আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের সব নির্বাচন একসঙ্গে করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে এই অনুমোদন পাওয়া গেল।  

চলতি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল, তাতে এক দেশ, এক নির্বাচন ছিল অন্যতম একটি প্রধান প্রতিশ্রুতি। এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গত ১৫ মার্চ, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। দেশের সব নির্বাচন একসঙ্গে করলে খরচ কমবে এবং উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে বলেও সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

এমনকি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন যেন একটি সাধারণ ভোটার তালিকা এবং ভোটার পরিচয়পত্র তৈরি করে, কমিটি সেই সুপারিশও করেছে। সংবিধানের ১৮টি সংশোধনীর কথাও বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, এর বেশিরভাগের জন্যই রাজ্য বিধানসভার অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। তবে, সংসদে পাস করাতে হবে এমন কিছু সাংবিধানিক সংশোধনী বিলের প্রয়োজন হবে।  

তবে বিরোধীরা এই প্রসঙ্গে জোরদার আপত্তি তোলে। কিন্তু সেদিকে কর্ণপাতই করল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর জন্য অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রামনাথ কোবিন্দ কমিটি যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাতেই কার্যত শিলমোহর দিল।

আসন্ন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে বিল আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব নির্বাচন একসঙ্গে করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।