সংক্ষিপ্ত

পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা শোনা যায় না প্রধানমন্ত্রীর মুখে

মঙ্গলবারের ভাষণে এই অভিযোদের জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদী

তুললেন এক দেশ এক রেশন কার্ডের কথা

এতে কীভাবে উপকৃত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

 

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ফের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদী। এতদিন বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা শোনা যায় না। গরীব অভাবী মানুষদের কথা শোনা যায় না। এদিন কিন্তু, মোদীর ১৬ মিনিটের বক্তৃতার প্রায় সবটা জুড়েই ছিল শুধু গরীব-অভাবী মানুষদের কথা, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা। আর এই প্রসঙ্গেই ফের 'এক দেশ এক রেশন কার্ড'-এর কথা তুললেন তিনি।   

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন সারা দেশকে নিয়ে তাঁর সরকারের একটি স্বপ্ন রয়েছে। সেই স্বপ্ন সাকার করতে বেশ কিছু রাজ্য দারুণ প্রশংসনীয় কাজ করেছে। তবে কিছু কিছু রাজ্য এখনও এই বিষয়ে এগোয়নি। তাদেরকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই কাজে অগ্রগতি আনার অনুরোধ করা হয়েছে। কাজটি হল এক দেশ এক রেশন কার্ড। প্রধানমন্ত্রী জানান এই কাজ সম্পন্ন হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে পরিযায়ী শ্রমিকরাই। কারণ তাঁরা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র যান, অন্য রাজ্যে যান। একটিই রেশন কার্ড হলে তাঁরা যে কোনও জায়গা থেকেই রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন।

কী এই এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প?

এখনও পর্যন্ত ২৩ কোটি রেশন কার্ড মাধ্যমমে ৮০ কোটি মানুষ ভারতে রেশন ব্যবস্থার সুবিধা পান। কিন্তু, এখনকার ব্যবস্থায় রেশন কার্ডে যে রেশন দোকান বা ফেয়ার প্রাইস শপের নাম লেখা থাকে, সেই দোকান থেকেই রেশন সংগ্রহ করতে হয়। এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু হলে কোনও রেশন কার্ডধারী ভারতের যে কোনও প্রান্তের রেশন দোকান থেকে ভর্তুকিকৃত দামে রেশন নিতে পারবেন।

কবে থেকে চালু হবে এই ব্যবস্থা?

গত মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান জানিয়েছিলেন ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে 'এক দেশ, এক রেশন কার্ড' পদ্ধতির চালু হবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ টি রাজ্য এই ব্যবস্থা কার্ড বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে। অর্থমন্ত্রীও সেই সময় জানিয়েছিলেন, এই ব্যবস্থাটিতে অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশের যে কোনও ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে রেশনের সুবিধা পাবেন।