সংক্ষিপ্ত

রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে পাওয়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির  তালিকা এই প্যানেলে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপি নেতা বিনয় সহস্রবুদ্ধ। সেখানে সুস্মিতা দেব একমাত্র মহিলা।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মেয়েদের বিয়ের বয়স সংক্রান্ত বিল (The Prohibition of Child Marriage (Amendment) Bill) নিয়ে। আর সেই সিদ্ধান্ত নিতে তৈরি করা হয়েছে পার্লামেন্টারি প্যানেল (31-member parliamentary panel)। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই প্যানেলে পুরুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লজ্জাজনকভাবে চোখে পড়েছে। ৩১ সদস্যের প্যানেলে রাখা হয়েছে মাত্র একজন মহিলা সদস্য। বাকি ৩০ জনই পুরুষ সদস্য রাখা হয়েছে প্যানেলে। উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব (trinamool Congress MP Sushmita Dev) ৩১ সদস্যের সংসদীয় প্যানেলের একমাত্র মহিলা। 

শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা (সংশোধনী) বিল পেশ করা হয়েছিল। এটি শিক্ষা, মহিলা, শিশু, যুব ও ক্রীড়া সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। বিলে মহিলাদের বিয়ের বৈধ বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে পাওয়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির  তালিকা এই প্যানেলে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপি নেতা বিনয় সহস্রবুদ্ধ। সেখানে সুস্মিতা দেব একমাত্র মহিলা।

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুস্মিতা দেব বলেন প্যানেলে আরও মহিলা সাংসদ থাকলে ভাল হত। তিনি আরও বলেন, "স্থায়ী কমিটির আমিই একমাত্র মহিলা সদস্য যিনি বিলটি দেখবেন, তবে আমি এটি নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব যে কমিটির চেয়ারম্যান প্রত্যেক মহিলার বক্তব্য শোনেন"।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বিষ্ময় প্রকাশ করে এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন যে প্যানেলে আরও মহিলা সাংসদ থাকা উচিত ছিল যারা মহিলাদের সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে। তবে প্যানেল প্রত্যেককে ডেকে কথা শুনবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে নিজেদের বক্তব্য রাখার জন্য মহিলা সাংসদরা সুযোগ পাবেন বলে মনে করছেন তিনি। 

এদিকে, মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানো নিয়ে এক বছরেরও আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর এক বছরেরও বেশি সময় পরে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহিলাদের জন্য বিবাহের বৈধ বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস করেছে।

মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরে, সরকার বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬-এ একটি সংশোধনী আনবে। এছাড়াও বিশেষ বিবাহ আইন এবং হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-এর মতো ব্যক্তিগত আইনগুলিতেও সংশোধন নিয়ে আসা হবে বলে জানানো হয়েছে। জয়া জেটলির নেতৃত্বে কেন্দ্রের টাস্ক ফোর্স ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নীতি আয়োগে কিছু সুপারিশ জমা দেয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সুপারিশের বিষয়গুলি ছিল মাতৃত্বের বয়স, অল্পবয়েসী মায়েদের মৃত্যুর হার কমানোর প্রয়োজনীয়তা, মায়েদের পুষ্টির সচেতনতা তৈরির মত সমস্যা।