সংক্ষিপ্ত
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু দেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাইড্রোজেন বোমার অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও তাদের কার্যকরী থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীর ৯টি দেশ হাইড্রোজেন বোমার অধিকারী। হাইড্রোজেন বোমার বিশাল বিস্ফোরণ ক্ষমতা এর সর্বাধিক উদ্বেগের কারণ। একটি হাইড্রোজেন বোমের বিস্ফোরণ সাধারনত একটি সাধারণ পারমাণবিক বোমার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী হয়। এই অস্ত্রটির কার্যপ্রণালী হল ফিউশন বা সংলয়ন প্রক্রিয়া, যেখানে হাইড্রোজেনের আইসোটোপ ডিউটারিয়াম এবং ট্রিটিয়াম একত্রিত হয়ে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে।
হাইড্রোজেন বম, যা থার্মোনিউক্লিয়ার বম নামে পরিচিত, এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রগুলির একটি। পৃথিবীর ৯টি দেশের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, চিন, ইউনাইটেড কিংডম, পাকিস্তান, ভারত, ইজরায়েল এবং উত্তর কোরিয়া। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু দেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাইড্রোজেন বোমার অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও তাদের কার্যকরী থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত ১৯৯৮ সালে একটি “থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস” পরীক্ষা করেছিল, যা হাইড্রোজেন বম হিসাবে বিবেচিত হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি হয়েছে।
গোপন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তান, ভারত, ইসরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে কোনও কার্যকরী থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস নেই, তবে তাদের কাছে এটি তৈরি করার প্রযুক্তি ও সক্ষমতা রয়েছে। তারা ফিশন-ভিত্তিক পারমাণবিক বোমা প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
বিধ্বংসী ক্ষমতার দিক থেকে হাইড্রোজেন বোমার তুলনা হয় শুধু পারমাণবিক বোমার সঙ্গে। তবে পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। এ ধরনের বোমা তৈরি করা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু উত্তর কোরিয়া গোপনে এই বোমা তৈরি করে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।