সংক্ষিপ্ত
- পকসো আইনে প্যান্টের জিপ খোলা যৌন নির্যাতন নয়
- পর্যবেক্ষণ বোম্বে হাইকোর্টের
- একটি মামলায় জানিয়েছেন মহিলা বিচারপতি
- নাবালিকার হাত ধরাও নির্যাতনের মধ্যে পড়ে না
নাবালিকা মেয়ের হাত ধরা ও প্যান্টের চেন খোলা কখনই পকসো আইনে যৌন নির্যাতন বা উত্তেজিত যৌন নির্যাতন নয়। বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। পাঁচ বছরের কিশোরীর শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি পুষ্প গনেদিওয়ালের একক বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ করে।
আদালত বলেছে বর্তমান মামলার তথ্যগুলি অভিযুক্তের উপর ক্রমবর্ধমান যৌন নির্যাতনের অভিযোগের অপরাধের জন্য ফৌজদারি দায় স্থির করার পক্ষে পর্যাপ্ত নয়। আদালত জানিয়েছে পকসো আইনের ১২ নম্বর ধারা সহ গঠিত আইপিসির ৩৫৪-এ(১)(আই) এর আওয়াতায় রয়েছে ছোটখাট অপরাধ দণ্ডনীয়। মামলাটি হল ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে নির্যাতিতা নাবালিকার মা যখন অন্যত্র কাজে গিয়েছিলেন তখন অভিযুক্ত নাবালিকার বাড়িতে প্রবেশ করে। নাবালিকার মা কাজ থেকে ফিরে এসে দেখতে পান অভিযুত্ত তার মেয়েটির হাত দিয়ে নিজের প্যান্টের জিপ খোলাচ্ছে। নাবালিকার মা নিম্ম আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ লিপিবদ্ধ করার সময় বলেছিল মেয়ে তাকে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্যান্ট থেকে গোপনাঙ্গটি সরিয়ে ফেলেছে। তারপর তাকে ঘুমাতে যেতে বলেছে।
কৃষকদের ১০ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডের নোটিশ, উত্তর প্রদেশ সরকারের থেকে জবাব চাইল আদালত ...
SUV-র চালকের আসনে ৫ বছরের শিশু, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক পাকিস্তানে ...
উচ্চ আদালত পোকসো আইনের ৮ ও ১০ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। একই সঙ্গে আদালত এই সাজা সংশোধন করার কথা বলেছে। কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ইতিমধ্যেই পাঁচ মাস জেল খেটেছে। চলতি মাসেই বিচারপতি গনেদিওয়াল অন্য একটি মামলায় রায় দেওয়ার সময় বলেছিলেন, যৌনতার সঙ্গে চামড়া বা ত্বকের যোগাযোগ থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে পোষাকের ওপর দিয়ে শিশুর স্তনে হাত দিলে তা আর পকসো আইনের আওতায় যৌন নির্যাতনের মধ্যে পড়বে না।