Air traffic disruptions: পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনা যে প্রত্যাঘাত করবে, তা প্রত্যাশিত ছিল। এই প্রত্যাঘাতের পরেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India-Pakistan War) আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
India-Pakistan War Situation: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানার পরেই দেশজুড়ে বাতিল ২০০টিরও বেশি উড়ান। বন্ধ করে দেওয়া হয় অন্তত ১৮টি বিমানবন্দর। বুধবার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় শ্রীনগর (Srinagar), লেহ (Leh), অমৃতসর (Amritsar), চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) মতো বিমানবন্দরগুলি। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি যে বিমানবন্দরগুলি রয়েছে, সেগুলিতেই যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়। জম্মু (Jammu), পাঠানকোট (Pathankot), যোধপুর (Jodhpur), জয়সলমীর (Jaisalmer), সিমলা (Shimla), ধরমশালা (Dharamshala), জামনগরের (Jamnagar) বিমানবন্দরে উড়ান ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। এই বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হচ্ছে না।
দিল্লি থেকে বাতিল বেশ কয়েকটি উড়ান
মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দিল্লি বিমানন্দরে ৩৫টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি ঘরোয়া উড়ান, চারটি আন্তর্জাতিক উড়ান রয়েছে। এছাড়া আটটি উড়ানকে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি। এয়ার ইন্ডিয়া (Air India), ইন্ডিগো (IndiGo), স্পাইসজেট (SpiceJet), এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস (Air India Express), আকাসা এয়ার (Akasa Air) এবং আরও কয়েকটি বিমান সংস্থা উড়ান বাতিল করেছে। শুধু ইন্ডিগোই ১৬৫টি উড়ান বাতিল করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিদেশি বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে আমেরিকান এয়ারলাইন্স (American Airlines) উড়ান বাতিল করেছে।
যাত্রীদের টাকা ফেরাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১০ মে ভোর ৫টা বেজে ২৯ মিনিট পর্যন্ত শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভূজ, জামনগর, চণ্ডীগড় ও রাজকোট বিমানবন্দরে যাবতীয় উড়ান বন্ধ রাখা হচ্ছে। যাত্রীরা একবার বাড়তি খরচ ছাড়াই উড়ানের তারিখ বদল করতে পারবেন। এছাড়া কেউ যাত্রা বাতিল করতে চাইলে টিকিটের পুরো অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন।
অন্য বিমান সংস্থাগুলিরও একই ব্যবস্থা
ইন্ডিগোও এয়ার ইন্ডিয়ার মতো একই ব্যবস্থা নিয়েছে। উত্তর ভারত ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতে আপাতত যাবতীয় উড়ান বাতিল করা হয়েছে। শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধরমশালা, বিকানির ও যোধপুর বিমানবন্দরে উড়ান বাতিল করা হয়েছে। ইন্ডিগোর 'এক্স' হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়েছে, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, সব জায়গাতেই উড়ানের ক্ষেত্রে বদল করতে হবে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, যাত্রা করার আগে নির্দিষ্ট উড়ানের বিষয়ে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন।’ স্পাইসজেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধরমশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর ও অমৃতসর বিমানবন্দরে উড়ান বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরগুলিতে উড়ান বাতিল থাকছে। যাত্রীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে অথবা উড়ানের তারিখ বদল করা হবে। আকাসা এয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রীনগরের উড়ান বাতিল করা হচ্ছে। স্টার এয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নান্দেড়, হিন্দোন, আদমপুর, কৃষ্ণগড় ও ভূজের উড়ান বাতিল করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অমৃতসর, জম্মু, শ্রীনগর, হিন্দোন-সহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কবে উড়ান স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
আরও উড়ান বাতিল হবে?
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Indira Gandhi International Airport) তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটড (Delhi International Airport Ltd) সতর্কবার্তায় বলেছে, আকাশসীমায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে আরও উড়ান বাতিল হতে পারে। কাতার এয়ারওয়েজের (Qatar Airways) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে উড়ান আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। কারণ, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানার পর পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


