Operation Sindoor: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে যোগাযোগবিহীন যুদ্ধ মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরে পাঁচটি উন্নত সুপারেটক নন কন্টাক্ট যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। জেনে নিন বিস্তারিত।

Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগেও বহুবার যুদ্ধ হয়েছে এই দুই দেশের মধ্যে। তবে, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক গৃহীত প্রতিরক্ষা অবকাঠামোকে যোগাযোগবিহীন যুদ্ধ (Non Contact War) মডেলে রূপান্তর করে। আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট বিমান হামলা আমরা দেখেছি। এবার হল অপারেশন সিঁদুর।

আগেই মোদী বুঝতে পেরেছিলেন, পুরনো মডেল ভবিষ্যতে কাজ করবে না। এটি পাকিস্তানে গভীর আক্রমণ সম্ভব করবে না, যা ছাড়া ভারত তাদের উৎসস্থলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে না। তাই মোদী যুদ্ধ মডেলটিকে যোগাযোগবিহীন যুদ্ধে (Non Contact War) রূপান্তর করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। যার ফলাফল অপারেশন সিঁদুর।

যোগাযোগবিহীন যুদ্ধ বা Non Contact যুদ্ধের দিকে যে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে, তা আগেই পাকিস্তান আঁচ করেছিল। এখন প্রশ্ন হল যোগাযোগবিহীন যুদ্ধ বা Non Contact যুদ্ধ কী? দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, স্মার্ট অস্ত্র, মানবহীন সিস্টেম, রোবট এবং উপগ্রহের অন্তর্ভুক্তিকে বলে যোগাযোগবিহীন যুদ্ধ বা Non Contact যুদ্ধ।

অপারেশন সিঁদুরের স্তম্ভ ছিল পাঁচটি উন্নত সুপারেটক নন কন্টাক্ট যুদ্ধ সরঞ্জাম। একটি রাফালে বিমান, দুটি SCALP ক্ষেপণাস্ত্র, তিনটি Hammer ক্ষেপণাস্ত্র, চারটি ইসরায়েলি সহায়তায় তৈরি কামিকাজে লোটিরিং ড্রোন এবং পাঁচটি মারাত্মক ব্রক্ষ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র।

মোদী ফ্রান্স থেকে রাফালে বিমান, ইংল্যান্ড থেকে SCALP ক্ষেপণাস্ত্র, ইসারায়েল থেকে হেরন এমকে২ ইউওভি এবং HAROP ড্রোন, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টর, মার্কিং যুক্তরাষ্ট্র থেকে এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি আক্রমণকারী হেলিকপ্টার এবং এজিএম-১১৪ হেলফায়ার কিনেছেন। মোদী সরকার গোপনে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম কিনেছিল হলে খবর।

জানা গিয়েছে, রাফালে জেট ছাড়া অপারেশন সিঁদুরের কল্পনা করা সম্ভব হত না। তেমনই পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের যে ঢেউ ভারত ধ্বংস করেছে তা সম্ভব হত নান রাশিরান এস - ৪০০ ছাড়া।

তবে, এই রাফালে এবং এস ৪০০ কেনার জন্য মোদীকে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়। কংগ্রেস তীব্র সমালোচনা করেছে। তবে, সমালোচনা যতই হোক, মোদীর সিদ্ধান্ত যে সাফল্য এনেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

একদিকে যেমন বিভিন্ন দেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধের সরঞ্জাম কিনে তিনি দেশকে আরও সুরক্ষিত করেছেন। তেমনই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়েছেন।

রেকর্ড বলছে মোদী শেষ ১০ বছরে ৭৩টি দেশে সফর করেছেন। তেমনই যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব সহ আটটিদেশে ত বার, শ্রীলঙ্কায় ৪ বার, চিন সহ তিন দেশে পাঁচ বার, জার্মানিতে ৬ বার, জাপান, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাত বার, ফ্রান্সে আট বার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বার গিয়েছে। এই সকল দেশের শুধু ভ্রমণ নয়, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে এই সকল দেশের সম্পর্কের উন্নতি করতেই মোদীর এই সকল ভ্রমণ। জাতির স্বার্থের তিনি বহুবার বহু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। যে কারণে, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর কুয়েত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া সহ ২১টি দেশ মোদীকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার প্রদান করেছে। তেমনই এবারের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পিছনে যে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।