সংক্ষিপ্ত
- নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গান্ধীর তুলনা করে কংগ্রেস থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন
- এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন এপি আবদুল্লাকুট্টি
- কংগ্রেসের আগে তিনি সিপিএম-এ ছিলেন
- সিপিএম দলের হয়ে দুইবার সাংসদ ও কংগ্রেসের হয়ে দুইবার বিধায়ক ছিলেন তিনি
অবশেষে নরেন্দ্র মোদীর দলেই এলেন তিনি। গত ২৮ মে তারিখে ফেসবুকে মোদীকে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করে কেরলের কংগ্রেস নেতাদের রোষানলে পড়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক এপি আবদুল্লাকুট্টি। বুধবার বিজেপিতে তাঁর যোগ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকরি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এছাড়া ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরণ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজীব চন্দ্রশেখরন প্রমুখ।
আবদুল্লাকুট্টি ফেসবুকে লিখেছিলেন, 'মহাত্মা গান্ধী জন-প্রতিনিধিদের বলতেন কোনও নীতি নির্ধারণের আগে জীবনে সবচেয়ে দরীদ্র যে ব্যক্তির সান্নিধ্যে এসেছ, তার কথা মাথায় রাখবে। মোদী গান্ধীর সেই মূল্যবোধকে যথাযথভাবে নিষ্পন্ন করছেন।' এখানেই শেষ নয়, স্বচ্ছ ভারত মিশন বা উজ্জ্বলা যোজনার মতো প্রথম মোদী সরকারের চালু করা প্রকল্পগুলিরও ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এরপরই কংগ্রেস দল থেকে বিতাড়িত করা হয় তাঁকে। কেরল রাজ্য কংগ্রেসের মুখপত্র 'ভীক্ষানম'-এ তাঁকে 'পরিযায়ী পাখি' বলেও কটাক্ষ করা হয়। বলা হয় কংগ্রেসে থেকেই বিজেপির প্রশংসা করা মেনে নেওয়া যায় না। ক্ষমতার অলিন্দে থাকার জন্যই তিনি এখন বিজেপিতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর সেই কারণেই তিনি এমন আচরণ করছেন, এই অভিযোগও করা হয় দুইবারের কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল্লাকুট্টি সম্পর্কে।
আবদুল্লাকুট্টি সেই সময়ে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস দল তাঁকে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগও দেয়নি। শেষ পর্যন্ত কিন্তু হাত ছেড়ে বিজেপিরই হাত ধরলেন তিনি।
আবদুল্লাকুট্টি অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে মোদী ভক্ত হিসেবে প্রমাণ করেছেন। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই তিনি মোদীর প্রশংসা করে বিপাকে পড়েছিলেন। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ছিলেন সিপিএম দলে। দুইবার সেই দল থেকেই সংসদে গিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মোদীর কাজের প্রশংসা করেছিলেন। বিতাড়িত হতে হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি থেকে।
এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে গান্ধীবাদী বানিয়ে বিতাড়িত হয়েছেন কংগ্রেস থেকে। অবশেষে মোদীর দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এখানেই তিনি ঘর খুঁজে পান, নাকি আবার অন্য কোথাও উড়ে যান মোদী ভক্ত এই পরিযায়ী পাখি, সেইদিকেই চোখ এখন রাজনৈতিক মহলের।