সংক্ষিপ্ত

  • 'চিড়ে' খাওয়া দেখেই চিনে নিলেন বাংলাদেশি।
  • এই নিয়ে তীব্র বিতর্কে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
  • এবার সেই বিতর্কে ঢুকলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
  • তাঁর বক্তব্য দিনমজুরদের শুধু 'হালুয়া' খাওয়া উচিত।

 

প্রধানমন্ত্রী নিদান দিয়েছিলেন পোশাক দেখে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের চিনে নেওয়ার। এবার আরেক বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় 'বাংলাদেশি' চিনলেন তাদের 'চিড়ে' খাওয়া দেখে। আর সেই বিতর্কে ঢুকে 'হালুয়া' ঢেলে দিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-মুসলিমিন দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

বৃহস্পতিবার মধ্য়প্রদেশের ইন্দোরে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, তাঁর বাড়িতে দিন কয়েক আগে কিছু দিন মজুর কাজ করতে এসেছিলেন। তাঁদেরকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়েছিল বাংলাদেশি বলে। কারণ? তাঁরা 'পোহা' অর্থাৎ চিড়ে খাচ্ছিলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করেন, তাঁরা রুটি খান কিনা। শ্রমিকরা জানান, তাঁরা চিড়েই খান। তাতেই তিনি বুঝে যান তাঁরা বাংলাদেশী। আর তারপর থেকেই এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপি এই বিতর্কে কিছুটা হলেও ব্য়াকফুটে।

এবার এই বিতর্কের আগুনে 'হালুয়া' ঢাললেন ওয়াইসি। এদিন তিনি টুইট করে বলেন,  শ্রমিকদের চিড়ে খাওয়া উচিৎ নয়, তাদের শুধুমাত্র হালুয়াই খাওয়া উচিত। তাহলেই তাঁদের ভারতীয় বলা হবে। বলা হবে ভারতের 'শেহরি'। নাহলে বাংলাদেশি বলে দেগে দেওয়া হবে তাদের। সিএএ-এনআরসি বিতর্কের একেবারে শুরু থেকে তীব্রভাবে এর বিরোধিতা করছেন এআইমিম প্রধান।

দুদিন আগেই অবশ্য তাঁর প্রথম 'হালুয়া হামলা' এসেছিল। বাজেট তৈরির শুরুতে যে হালুয়া উৎসব করা হয়, তাই নিয়ে বিজেপির নাম বদলের রাজনীতিকে ঠুকেছিলেন তিনি। করিমনগর পুরভোটের প্রচারে গিয়ে জানিয়েছিলেন 'হালুয়া' কথাটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে। হিন্দি বা উর্দু নয়। এটা জানার পরও কি বিজেপি নেতারা হালুয়া কথাটা বলবেন? তারা কি এবার আরবি বলা শুরু করবেন? নাকি হালুয়ারও নাম পাল্টে দেবেন?