অরবিন্দ কেজরিওয়াল হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করে দিয়েছেন।ওয়াইসি-কেও একদিন হনুমান চল্লিশা পড়তে দেখা যাবে।মঙ্গলবার ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন যোগী আদিত্যনাথ।দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি নেতারা একেবারে বেলাগাম।   

'এখন তোঅরবিন্দ কেজরিওয়ালও হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করে দিয়েছেন। ভাই-বোনেরা এবার দেখবেন, আগামীদিনে কী হয়। ওয়াইসি-কেও একদিন হনুমান চল্লিশা পড়তে দেখা যাবে।' মঙ্গলবার ফের একবার বিতর্ক বাধালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিরারি-তে এক প্রচারসভায় তিনি এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

তবে শুধু যোগীই নন, তাঁরও আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একই মন্তব্য করেছেন আরেক বিজেপি নেতা তথা দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র। এদিন এই আপ থেকে বিজেপি-তে আসা নেতা টুইট করেন, 'কেজরিওয়াল হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করেছেন, এখন ওয়াইসি-ও হনুমান চল্লিশা পড়বেন। এটা আমাদের ঐক্যের শক্তি। এভাবেই এক থাকতে হবে। একতা ধরে রাখতে হবে। একসঙ্গে ভোট দিতে হবে। আমাদের সকলের একতা ২০ শতাংশ ভোট ব্যাঙ্কের নোংরা রাজনীতির কবর খুড়ে দেবে'।

Scroll to load tweet…

যোগীও সরাসরি বলেননি, কপিলল মিশ্রও নন। কিন্তু একজন মুসলিম নেতার নাম ও '২০ শতাংশের নোংরা রাজনীতি'র লক্ষ্য কোন সম্প্রদায় তা বুঝে নিতে কারোরই অসুবিধা হয় না। এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এক সাক্ষাত্কারে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি হনুমান ভক্ত কিনা? সঙ্গে সঙ্গে হনুমান চল্লিশা মুখস্থ শুনিয়ে দেন। এই প্রসঙ্গেই 'ওয়াইসি' ও '২০ শতাংশ-এর নোংরা রাজনীতি'র প্রসঙ্গ টেনেছেন বিজেপি নেতারা।

৮ ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রচার পর্বে বিজেপি-র বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কপিল মিশ্র থেকে শুরু করে পরবেশ ভার্মা, অনুরাগ ঠাকুরদের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, বিরোধীদের দাবি এসব পদক্ষেপই লোক দেখানো। বিজেপি নেতাদের মুখে তারপরেও লাগাম লাগেনি। তার জন্য আরও বড় পদক্ষেপের দরকার।