সংক্ষিপ্ত
একটি ভেড়ার জন্য এক কোটি পর্যন্ত টাকা দিতে প্রস্তুত ক্রেতারা। কিন্তু সাধের ভেড়া বিক্রি করতে রাজি নয় মেষপালন। তাই নিয়ে আলোচনার রাজস্থানের রাজু সিং।
একশো - দুশো বা এক - দুই হাজার টাকা নয়, রাজস্থানের মেষপালক ১ কোটি টাকা দেওয়ার সত্ত্বেও ভেড়া বিক্রি করতে অস্বীকার করেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। কারণ ভেঁড়ার বাচ্ছাটির পেটে নাকি লেখা হয়েছে ৭৮৬ নম্বর। ভারতীয় মুসলিমরা ৭৮৬ নম্বরটিকে লাকি নম্বর হিসেবেই দেখে। মুলসিমদের কাছে এটি পবিত্র সংখ্যা হিসেবে গণ্য হয়।
মেষ পালক রাজু সিং। তাঁর কাছে রয়েছে এই 'পবিত্র ভেড়া'। যদিও তিনি নাকি প্রথমে বুঝতেই পারেননি ভেড়ার পেটে কী লেখা রয়েছে। তবে গ্রামে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলে জানতে পারেন ভেড়ার পেটে উর্দুতে লেখা হয়েছে ৭৮৬ সংখ্যা। যা মুসলিম ধর্মের মানুষদের কাছে পবিত্র বলে গহণ্য হয়। এটি আল্লাহর আশীর্বাদ হিসেবেও মনে করা হয়।
রাজু সিং জানিয়েছেন গত বছর ভেড়া শাবকের জন্ম হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত এক বছরের ভেড়ার জন্য তাকে অনেকেই ৭০ লক্ষ টাকা দেওযার প্রস্তাব দিয়েছিল। একজন এক কোটি টাকার বিনিয়ম ভেড়াটি কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি ভেড়াটি এখনও পর্যন্ত বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কারণও জানিয়েছেন তিনি। রাজু বলেছেন এই ভেড়াটি তাঁর ও তাঁর পরিবারের কাছে খুবই প্রিয়।
রাজু আরও জানিয়েছেন, ভেড়ার বাচ্চাটির জন্য যখন ১ কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে লোকে রাজি , সেই সময়ই তিনি এটির গুরুত্ব বুঝতে পারেন। তারপরই বাকি পশুদের থেকে এটিকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করেছেন। এই ভেড়াকে ডামিল, পেঁপে, বাজরা আর প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি নিত্য দিন খেতে দেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন পবিত্র সংখ্যা লেখা থাকায় অনেকেই এই ভেড়ার জন্য বিশেষ মূল্য দিতে রাজি রয়েছে। আর সেই কারণে এটিকে রক্ষা করতেও তিনি তৎপর। এটিকে কখনই তিনি খোয়াড়ে বা গোয়ালঘরে রাখেন না। নিজের পরিবারের সঙ্গে নিজের বাড়িতেই রেখে দেন। ভেড়াটি তাঁর পরিবারের এক সদস্যদের মত হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইদ-উল- আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র উৎসব। এটিকে কোরবানির ইদ বা বখরি ইদও বলা হয়েছে। প্রাচীন মুসলিম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী এই বিশেষ দিনে নবি ইব্রাহিম তাঁর পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি হিসেবে প্রদান করেছিলেন। তাই এই বিশেষ দিনে মুসলিম সম্প্রদায়ে কোরবানির দিন হিসেবে পালন করে। প্রত্যেক দেশেই এই বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। প্রত্যেক দেশের বাসিন্দারা নিজ নিজ দেশে আইন মেনে পশুকে কোরবানি দেয়। আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই কোরবানিকেই কোরবানির ইদ বলা হয়। তাই এই সময় ভেড়া, উট, গরু , ছাগলের মত পুশদের দামও তুলনায় বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুনঃ
লক্ষ্মীবারে কলকাতা -সহ দেশের চার মেট্রো শহরে পেট্রোল আর ডিজেলের দাম রইল, জানতে ক্লিক করুন এখানে