pahalgam terror attack: পহেলগাঁও-এ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন বাঙালি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে। জঙ্গিরা পাকিস্তানি ভাষায় কথা বলছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
Pahalgam Terror Attack: খবরের শিরোনামে পহেলগাঁও। সেখানে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের গুলিতে নিহত হন ২৬ জন পর্যটক। এই তালিকায় আছেন তিনজন বাঙালি পর্যটক। সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় প্রয়াত হয়েছেন ২৬ জন। প্রয়াত হয়েছেন বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। প্রয়াত হন দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। হায়দরাবাদে কর্মরত আইবি অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জন প্রাণ হারিয়েছেন পহেলগাঁও-তে। নিহতদের মধ্যে আছেন ২ জন বিদেশি নাগরিক।
সদ্য প্রকাশ্যে এল জঙ্গিদের স্কেচ। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর সেখানে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে স্কেচ তৈরি করা হয়েছে। পর্যটকদের বয়ানের ওপর নির্ভর করে তিনজনের জঙ্গিদের ছবি তৈরি করেছে প্রশাসন। প্রকাশ্যে এল সেই ছবি।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি ভাষা শোনা গিয়েছিল জঙ্গিদের মুখে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা। জানা গিয়েছে, এরা সকলেই লস্কর ই তৈবার সঙ্গে যুক্ত।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই হামলাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। হামলাটি পহেলগাম থেকে প্রায় ৭ কিনি দবরে বৈশরন ম.দানে ঘটে। যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশের জন্য জনপ্রিয়। সেখানে সেনার পোশাক পরে জঙ্গিরা আসে। উপস্থিত ব্যক্তিদের নাম বলতে এবং ইসলামিক আয়াত পাঠ করতে বলে। তারপর বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করে।
এদিকে জানা গিয়েছে, হামলার আগে ১-৭ এপ্রিল রেইকি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। একাধিক পর্যটনস্থলের রিসর্টে রেইকি করে শেষ পর্যন্ত বেছে নেয় কাশ্মীরের বৈসারন ভ্যালির এই জায়গাটা। দুপুরে ৬-৭ জন জঙ্গি সেখানে হাজির হয়। দু-তিনটে দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। সেখানে প্রায় ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ধর্মীয় পরিচয় দেখে টার্গেট করে হিন্দুদের। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও অনেকে। ফলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান।


