Pahalgam Terrorist Attack: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২০ জনের প্যান্ট খুলে পরীক্ষা করেছিল জঙ্গিরা। ধর্ম যাচাই করতে এই কাজ করা হয়েছিল বলে দাবি কর্মকর্তাদের। হত্যার আগে জঙ্গিরা পর্যটকদের কলমা পাঠ করতে বাধ্য করেছিল।

Pahalgam Terrorist Attack: ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২০ জনের প্যান্ট খুলে পরীক্ষা করেছিল জঙ্গিরা। ধর্ম যাচাই করতে প্যান্ট খোলা হয়েছিল বলে দাবি।

জঙ্গি হামলায় প্রয়াত ২৬ জনকে প্রাথমিক পরীক্ষার পর কর্মকর্তারা এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পান। তাঁদের দাবি, হত্যা করার আগে পুরুষদের প্যান্ট খুলে ফেলা হয়েছে অথবা প্যান্ট টেনে নামানো হয়েছিল। তাদের ধর্ম নির্ধারণ করার জন্য এই কাজ করেছিল জঙ্গিরা। এমনই বিশ্বাস সেনাদের।

সেনা সদস্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ দল বিশ্বাস করে যে, হত্যা করার আগে তাদের ধর্মের বিষয় নিশ্চিত হতে এই কাজ করা হয়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে তাদের একটি ইসলামিক আয়াত, কলমা পাঠ করতে বাধ্য করে। যারা ব্যর্থ হয় তাদের গুলি করে হত্যা করে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পহেলগাঁও-তে পর্যটকদের ওপর আক্রমণ করে জঙ্গিরা। ধর্ম জেনে বেছে বেছে হত্যা করা হয়। মূলত হিন্দুদের হত্যা করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলে ২৬ জন পর্যটক প্রয়াত হন। দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশ নাগরিক সহ ২৬ জন নিহত হন। যা ২০১৯ সালে পুলওয়ামার উপত্যাকার পর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে, জঙ্গিরা ধর্ম জেনে বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করে। আগে তারাও দাবি করেছিলেন যে, পুরুষদের প্যান্ট খুলতে বলা হয়েছিল এবং তাদের বিশ্বাস নিশ্চিত করার জন্য পুরুষদের গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবার সে বিষয় নিশ্চিত করল তদন্তকারী আধিকারিকরা। 

মঙ্গলবার জম্মু কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হানা হয়। ঘটনাস্থলে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সঙ্গে আহতের সংখ্যা অন্তত অনেক। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ থেকে ৬ জন। তারা সেদিন কম করে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। বেছে বেছে সকল হিন্দুদের খুন করা হয়।

সেদিন কর্নাটকের একটি পরিবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথ রাওয়ের। জঙ্গিদের একজন পল্লবীকে বলে ‘তোকে মারব না। যা মোদীকে গিয়ে বল।’

এই হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া মহিলা পর্যটক পুলিশকে জানিয়েছিল যে, বন্ধুকধারীরা তার হাতে বিয়ের চুড়া দেখে তার কাছে আসে, সন্দেহ করে যে তারা হিন্দু। আবার একজন বলেন, তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর দেখে তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়। 

জানা গিয়েছে, হত্যালীলা করার আগে ১-৭ এপ্রিল রেইকি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। একাধিক পর্যটনস্থলের রিসর্টে রেইকি করে শেষ পর্যন্ত বেছে নেয় কাশ্মীরের বৈসারন ভ্যালির একটি রিসর্ট। দুপুরে ৪-৫ জন জঙ্গি সেখানে হাজির হয়। দু-তিনটে দলে ভাগ হয়ে যায়। প্রায় ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল তারা। ধর্মীয় পরিচেয় দেখে টার্গেট করে। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও অনেকে। ফলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান।

সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় প্রয়াত হয়েছেন বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। হায়দরাবাদে কর্মরত আইবি অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জন। নিহতদের মধ্যে আছেন ২ জন বিদেশি নাগরিক। তদন্তকারী অফিসারদের মতে, নিহতদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক এবং ১ জন স্থানীয়। বেশ কয়েকজন অতন্তনাগ জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এদিকে পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদে আঁচ পৌঁছে গিয়েছে লন্ডনে। সেখানে বিক্ষোভে দেখান প্রবাসী ভারতীয়ের একাংশ। সেই সময় ঘটল অবাক করা ঘটনা। পহেলগাঁও কান্ডের পর লন্ডনে পাকিস্তানি হাই কমিশনের বাইরে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় ভারতীয়দের। সেখান থেকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ফের তৈরি করল বিতর্ক। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে ‘গলা কেটে দেওয়ার ভঙ্গি’ করছেন কর্নেল তৈমুর রাহাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হল সেই ভিডিও।