সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীরের পরিস্থিতি যাচাই করতে এসেছিলেন ১৬টি দেশের রাষ্ট্রদূত
- তাঁদের উপত্যকাবাসী জানিয়ে দিল পাকিস্তানের দাবি সর্বৈব মিথ্য়ে
- সেইসঙ্গে মোদী সরকারের করা হল ভূয়সী প্রশংসা
- পাকিস্তানকে হস্তক্ষেপ না করার জন্য চাপ দিতে বলা হল
গত অগাস্টে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি যাচাই করতে বৃহস্পতিবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার সহ ১৬টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং প্রবীণ কূটনীতিকরা শ্রীনগরে এসেছিলেন। তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে শ্রীনগরের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের সামনে পেয়ে উপত্যকার মানুষ জানালেন কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবি সর্বৈব মিথ্য়ে। সেইসঙ্গে কাশ্মীরের পরিস্থিতি দক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সামাল দেওয়ার জন্য মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে খবর।
এদিন শ্রীনগরে বিদেশি প্রতিনিধি দল পঞ্চায়েত সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি এনজিও-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হন। তাঁরা রাষ্ট্রদূতদের জানান, কাশ্মীরে 'রক্তবন্যা' বইছে বলে পাকিস্তানের যে দাবি করছে তা পুরোপুরি ভুল। বরং গত ৫ আগস্ট থেকে বিনা রক্তপাতে মোদী সরকার যেভাবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামলেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের যে সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে তাও তাঁরা জানাতে ভোলেননি। তবে উপত্যকার শৃঙ্খলারক্ষার জন্য এই ধরণের পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল বলেও তাঁরা মেনে নিয়েছেন।
কাশ্মীরের প্রতিনিধিরা জানান, পাকিস্তানের দাবি আসলে তাদের হতাশার বহিপ্রকাশ। একই সঙ্গে উপত্যকায় পাকিস্তানের তরফ থেকে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দেওয়ার কী পরিমাণ অপচেষ্টা চলছে তাও বিদেশি প্রতিনিধিদের সামনে তাঁরা তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, কাশ্মীর বিষয়ে ইসলামাবাদ যাতে আর হস্তক্ষেপ না করে তার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতদের তাঁরা অনুরোধও করেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানান, কাশ্মীরের জনগণ পাকিস্তানকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেবে না।
কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর, এটিই ছিল সরকারের আহ্বানে উপত্যকায় বিদেশি কূটনীতিকদের প্রথম সফর। কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনভাবে ঘুরলেও এই দলটির সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবসময়ই সেঁটে ছিলেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার জানিয়েছেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা উপত্যকায় পা রেখে প্রথমেই জম্মু-কাশ্মীরের সুরক্ষা পরিস্থিতি জানতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেন, শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের হুমকি কতটা জোরালো। তঁদের এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকার কী কী প্রচেষ্টা নিয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও বিদেশি দূতদের এই দলে ছিলেন ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, নাইজার, নাইজেরিয়া, মরোক্কো, গায়ানা, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইন্স, নরওয়ে, মালদ্বীপ, ফিজি, টোগো, বাংলাদেশ এবং পেরুর প্রতিনিধিরা।