সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই ড্রোনগুলি পাঠিয়ে ভারতে অস্ত্র এবং মাদক পাচার করে থাকে। 

ফের ভারতের সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ল পাকিস্তানের ড্রোন। তবে, এবার শুধু নজরদারি চালানোর লক্ষ্যে এই ড্রোনের আনাগোনা বলে মনে করছেন না সীমান্তরক্ষীরা। কারণ, এটির সঙ্গে বাঁধা ছিল ১ কিলোগ্রাম ওজনের উচ্চদরের মাদক। সোমবার পঞ্জাবের গুরদাসপুর এলাকার ভারত-পাক সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা এই ড্রোনটি পাকড়াও করেন।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক জওয়ানের বক্তব্য, ‘‘গুরুদাসপুরের কসোয়ালে ভারতের ঘাঁটি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে একটি পুরনো ভাঙাচোরা ‘হেক্সাকপ্টার’ ড্রোন পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে ১ কেজি ওজনের হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।’’ সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ কৃষকরা ওই এলাকায় চাষ করতে গেলে তাঁরা মাদক-সহ ড্রোনটি খুঁজে পান। তার পর তাঁরাই বিএসএফ জওয়ানদের খবর দিয়েছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ পাওয়া মাত্রই ড্রোনটি বাজেয়াপ্ত করেন বিএসএফ-এর কর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০২২-এর শেষ দিকেও একটি পাকিস্তানি ড্রোন ঢুকে পড়েছিল ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেনা সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ওই ড্রোনটি ঢুকে পড়ে। ড্রোনটিকে বুধবার সকালেও ফের ওই জায়গাতেই দেখা গিয়েছিল। বিএসএফের তরফে তড়িঘড়ি গুলি করে নামানো হয়েছিল সেটিকে।

বিএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতীয় সীমান্তে পাকিস্তানের ড্রোনের আনাগোনা বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৩০টি পাকিস্তানি ড্রোনকে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় সেনা। ২০২১ সালে এই সংখ্যাটাই ছিল ১০৪। ২০২০ সালে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৭৭। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র পঞ্জাব সীমান্তেই মোট ২৯৭টি ড্রোনের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। পঞ্জাব ছাড়াও গুজরাত, জম্মু, রাজস্থানে পাক ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই ড্রোনগুলি পাঠিয়ে ভারতে অস্ত্র এবং মাদক পাচার করে থাকে।

আরও পড়ুন- 
দমে যাওয়া কর্মীদের সক্রিয় করাই মূল লক্ষ্য: বর্ধমানে বামফ্রন্টের মঞ্চ থেকে সরব প্রকাশ কারাট
‘রাম ধোলাই’-এর পক্ষে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, আবাস যোজনার দুর্নীতি রুখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাওয়াই
এখনও দ্বিতীয় ডোজই নেননি দেশের অধিকাংশ মানুষ, ইতিমধ্যেই করোনার চতুর্থ টিকার অনুমোদন চাইল NTAGI