সংক্ষিপ্ত
বুধবার, লখনউ-এ শুরু হল ডিফেন্স এক্সপো ২০২০।
প্রথম দিনই বিতর্কে জড়ালো এই প্রদর্শনী।
পাকিস্তানের হেলিকপ্টারের ছবি দিয়ে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' বলে প্রচার করা হল।
সেই সঙ্গে এক্সপোর ব্যবস্থাপনা নিয়েও উঠছে হাজারো অভিযোগ।
বুধবার, লখনউ-এ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে ডিফেন্স এক্সপো ২০২০-র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, অযাচিত বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সামনেই লজ্জায় পড়তে হল যোগী আদিত্যনাথকে। এক্সপো-তে যোগ দিতে আসা প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানোর পোস্টারে দেখা গেল পাকিস্তান-কে সরবরাহ করা তুর্কির হেলিকপ্টারের ছবি। যা 'মেক ইন ইন্ডিয়া' বলে প্রচার করা হচ্ছে।
বুধবার থেকে ভারতের দ্বিবার্ষিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী শুরু হল উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ-এ। এদিন সকালে লখনউ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান যোগী। তারপর আগামী পাঁচদিন ধরে চলবে এই ডিফেন্স এক্সপো। ভারতীয় প্রতিরক্ষাবাহিনীর বিভিন্ন নতুন যুদ্ধাস্ত্র, বিভিন্ন সাজ-সরঞ্জাম সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা হয় এই প্রদর্শনীতে।
সেখানেই 'মেক ইন ইন্ডিয়া' বলে একটি পোস্টার দেওয়া হয়েছে, যেখানে দুই আসন বিশিষ্ট হামলাকারী হেলিকপ্টার টি -১২৯'এর ছবি দেখা যায়। এটি ইতালীয়-ব্রিটিশ সংস্থা অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড-এর সহযোগিতায় তুর্কি এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ বা টিএআই-এর তৈরি। এমনকি ছবিটিতে তুর্কির জাতীয় পতাকা-ও রয়েছে। এই কপ্টারটি তুর্কি পাকিস্তান-কে সরবরাহ করে থাকে।
স্বাভাবিকভাবেই তুর্কির পতাকা সম্বলিত কপ্টারের ছবি কীকরে মেক ইন ইন্ডিয়া বলে চালানো হল সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছে আয়োজকরা। এমনিতে এই প্রদর্শনীর মূল আয়োজক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে ওই কলঙ্কিত পোস্টারটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নয়, উত্তরপ্রদেশ সরকারেরই লাগানো বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। লখনউ এমনিতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নির্বাচনী এলাকা। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ও প্রতিরক্ষা সংস্থার সিইও, বিদেশী কূটনীতিকদের সামনে এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে যোগী অদিত্যনাথের।
তবে শুধু পোস্টার বিভ্রাটই নয়, এই এক্সপো-কে কেন্দ্র করে একটি অস্থায়ী তাঁবুর শহর গড়ে তোলা হবে বলে প্রচার করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেখানেই বিদেশী অভ্যাগতদের রাখা হয়েছে। দিনপ্রতি ২০০০০ টাকা দিয়ে সেই তাঁবুতে থাকতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন তাঁরা। একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া গরম জল মিলছে না। সেই নির্ধারিত সময়েও গরম জল দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। এমনকী, বাথরুমের মেঝে থেকে পেরেক উঁচিয়ে আছে বলেও এক বিদেশী কুটনীতিক জানিয়েছেন।