সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি ছিল যে, ২০২৩ সালে দুটি  ‘নিষিদ্ধ’ জঙ্গি সংগঠনের ২ জন জঙ্গিকে হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দাদের হাত রয়েছে। সেই তথ্যকে স্পষ্ট ভাষায় ‘ভুয়ো দোষারোপ’ বলে উড়িয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

জঙ্গিদের যে বীজ পাকিস্তান পুঁতে দিয়েছে, তার ফলাফল তাদের ওপরেও পড়বে – হুঁশিয়ারি দিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক । সম্প্রতি পাকিস্তানের সীমানার মধ্যে ঢুকে দু'জন জঙ্গিকে খতম করা প্রসঙ্গে ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিল ইসলামাবাদ , সেই তথ্যকে স্পষ্ট ভাষায় ‘ভুয়ো দোষারোপ’ বলে উড়িয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
 

পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব মহম্মদ সাইরাস সাজ্জাদ কাজির দাবি ছিল যে, ২০২৩ সালে শিয়ালকোট এবং রাওয়ালকোটে ‘নিষিদ্ধ’ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার ২ জন জঙ্গিকে হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দাদের হাত রয়েছে , ভারতীয় গোয়েন্দারা নিয়ম ভঙ্গ করে দেশের সীমানা লঙ্ঘন করে ঢুকেছিলেন। এসব প্রমাণ করার জন্য পাকিস্তানের কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে বলেও দাবি করেছিলেন কাজি। 


২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলার মূলচক্রী শহীদ লতিফকে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর শিয়ালকোটের একটি মসজিদে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। তার আগে, জম্মু ও কাশ্মীরের ধানগরি জঙ্গি হামলার মূলচক্রী রিয়াজ আহমেদ ওরফে আবু কাসিমকে রাওয়ালকোটে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাকিস্তান প্রশাসনের দাবি, এই দুই জঙ্গিকেই শেষ করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
 

ভারতীয় গোয়েন্দারা পাকিস্তানে হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য সেই দেশের মাটিতে প্রযুক্তি এবং নিরাপদ আশ্রয়ের সাহায্য নিয়েছে। অপরাধী, জঙ্গি এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সহ বিভিন্নভাবে সাহায্য গ্রহণ করেছে ভারত – এমনটাই দাবি করেছিল পাকিস্তান। 



এই বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে দিয়েছে ভারতীয় মন্ত্রক। ভুয়ো খবরের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকার ভারত-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।