সংক্ষিপ্ত
- ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল পাকিস্তান
- কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রতিবাদ
- পাক আকাশসীমাও আংশিক বন্ধ করা হল ভারতীয় বিমানের জন্য
- দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত
- পাক পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার জের। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও ফেরত পাঠাল ইমরান সরকার। একই সঙ্গে পাক রাষ্ট্রদূতকেও ভারত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমাও আংশিক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিন পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং কাশ্মীরকে ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ভারতের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে সরকার এবং মিলিটারি কর্তারা। ওই বৈঠকের পরেই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করে পাক সরকার। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান সরকার। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাত ২.৪৫ থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ভারতীয় বিমানের জন্য পাক আকাশসীমা বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র রবিবার এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে না। ইসলামাবাদের অভিযোগ, কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ভারত একপেশে এবং বেআইনি।
শুধু তাই নয়, ১৪ অগাস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিন কাশ্মীরবাসীর সহমর্মিতায় পালন করা হবে। আর ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালা দিবস হিসেবে পালন করবে পাকিস্তান। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপকে রাষ্ট্রসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা হবে বলেও এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাকর্তাদের পাশাপাশি আইএসআই প্রধানও উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পিছনে সেনার চাপ রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
যদিও পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি ভারত। তবে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই আচরণকে শিশুসুলভ বলেই মনে করছে ভারত। পাশাপাশি বিজেপি নেতারা বলছেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে পড়ে। আর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ হলে পাকিস্তানেরই বেশি ক্ষতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।