সংক্ষিপ্ত
- দীপাবলির দিনেও রাজৌরি সেক্টরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ করল পাকিস্তান
- হামলাকে পাত্তা না দিয়ে রাজৌরিতেই দীপাবলি উদযাপন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
- এই নিয়ে তৃতীয়বার কাশ্মীরে দীপাবলি উদযাপনে মোদী
- সেনার পোশাকে তাঁকে দেখে দারুণ উৎসাহিত ভারতীয় সেনা কর্মীরা
দীপাবলির উৎসবের দিনটাও বাদ দিল না পাকিস্তান। এদিন ফের সকাল থেকে রাজৌরি সেক্টরে সীমান্তের ওপাড় থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে পাক রেঞ্জাররা। কিন্তু সেইসব হামলাকে পাত্তা না দিয়ে দীপাবলি উদযাপন করতে সেই রাজৌরি জেলাতেই পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর ৫৬ ইঞ্চির ছাতির দম।
দীপাবলিতেও সীমান্তে কর্তব্যরত সেনাকর্মীদের ছুটি কাটানোর উপায় নেই। বাড়ির দিকে মন টানলেও কর্তব্যের খাতিরে বাড়ি যাওয়ার উপায় হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখা যায় প্রায় প্রত্যেক বছরই দীপাবলির দিনটা সীমান্তের সেনাকর্মীদের সঙ্গে কাটাতে। এবারেও রাজৌরি সীমান্তে সেনাকর্মীদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসবে মাতবেন, এমনটাই ঠিক ছিল।
সকাল থেকে গোলাগুলি চলতে থাকায় কিছুটা হলেও প্রপধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি-কে নিয়ে আসাটা উচিত হবে কি না তাই নিয়ে দ্বিধায় ছিল নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী তাঁর কর্মসূচি, পাক গোলার ভয়ে পাল্টাতে রাজি হননি।
২০১৪ সাল থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য কাশ্মীরে সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি রাজৌরি পৌঁছতেই সেনা কর্মীদের মধ্য়ে দারুণ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেল। সেনার জঙলা ছাপ পোষাকে নরেন্দ্র মোদীকে তখন মনে হচ্ছিল যেন এক রকস্টার।
প্রথমে রাজৌরিতে যুদ্ধে নিহত সেনাদের স্মৃতিসৌধে পুষ্প স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস-এর কমান্ডিং অফিসার জেনারেল হারিন্দর সিং। তারপর উপস্থিত সেনা কর্মীদের সঙ্গে হাতও মেলান প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাও দেন।