সংক্ষিপ্ত
সদ্যোজাত মা ও বাবা হলেন নিম্বু বাই ও বালাম রান। পঞ্জাব প্রদেশের রাজনপুর জেলার বাসিন্দার। ভারতের প্রবেশের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন।
এক পাকিস্তানি দম্পতি (Pakistani Couple) তাঁদের সদ্য জন্মগ্রহণ করার শিশুর নাম রেখেছেন বর্ডার (Border)। কারণ এই দম্পতি আরও ৯৭ জন পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে গত ৭১ দিন ধরে আটারি সীমান্ত (Attari Border) আটকে রয়েছে। সীমান্তর অস্থায়ী ছাউনিতেই তাঁদের সদ্যোজাত সন্তান ভূমিষ্ট হয়। আলো দেখে পৃথিবীর। সীমান্তের সেই কঠোর দিনগুলির কথা স্মরণ করেই তাঁরা তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানের নাম রেখেছেন বর্ডার। তেমনই জানিয়েছেন তাঁদের ঘনিষ্টরা।
সদ্যোজাত মা ও বাবা হলেন নিম্বু বাই ও বালাম রান। পঞ্জাব প্রদেশের রাজনপুর জেলার বাসিন্দার। ভারতের প্রবেশের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। দম্পতি জানিয়েছেন ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সদ্যোজার জন্ম হওয়ায় তাঁর তাঁদের সন্তানের নাম বর্ডার রেখেছে।
নিম্বু বাই গর্ভাবতী ছিলেন। ২ ডিসেম্বর প্রসব বেদনা ওঠে। সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম থেকে কয়েক জন মহিলা আটারি সীমান্ত গিয়ে নিম্বুবাইয়ের পাশে দাঁড়ায়। তাঁরাই সেখানে নিম্বু বাইকে প্রসব করতে সাহায্য করে। স্থানীয় সাহায্য কেন্দ্রগুলিও তৎপর ছিল। দেওয়া হয়েছিল চিকিৎসা পরিষেবাও। সন্তানের জন্মের জন্য সবরকম অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল।
বালাম রাম জানিয়েছেন আরও ৯৮ জন নাগরিকের সঙ্গে তাঁরা ভারতে এসেছিলেন। আত্মীদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তীর্থেও গিয়েছিলেন তারা। লকডাউনের আগেই তারা ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারার জন্য তাঁদের আটকে রাখা হয়। তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেননি। রয়েছেন আটারি সীমান্তে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে এই দলে প্রায় ৪৭টি শিশু রয়েছে। যার মধ্যে ৬ জনই বর্ডারের মতই ভারতে জন্মগ্রহণ করে। তাদের বয়স এক বছেরেরও কম। বালাম রাম ছাড়াও আরও এক পাকিস্তানি রয়েছেন, তার সন্তানও আটারি সীমান্তে জন্ম গ্রহণ করেছে। তিনি তাঁর সন্তানের নাম রেখেছেন ভারত। তিনি জানিয়েছেন তিনি যোধপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ভাইরেসর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু দেখা হয়নি। সীমান্তে আটকে গিয়েছেন। সেখানেই তাঁর সন্তানের জন্ম হয়। তাই তিনি নাম রেখেছেন ভারত।
মোহন ও সুন্দর দাসও আটারি সীমান্তে আটেকে পড়াদের একজন। তারা তাদের সন্তান ও তাদেরকে গ্রহণের জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা রহিম ইয়ার খান ও রাজনপুরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা এই এলাকায় তাঁবু খাটিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আটারি সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অনিশ্চিক ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু পাকিস্তান রেঞ্জাররা তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করছে।
আর্টারির আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কাছে এই পরিবারগুলি অস্থায়ী ক্যাম্প করে পবাস করছেন। স্থানীয়রা দের দিনবেলার খাবার ও ওষুধ দিয়ে যায়। তাতেই দিনগুজরান হয় তাদের। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাদের জামাকাপড় দিয়ে সাহায্য করেন। বর্তমানে ভারতও তাদের গ্রহণ করেনি। আবার পাকিস্তান তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।