সংক্ষিপ্ত
বলি অভিনেত্রী জ্যাকলিন একটি শো-এর জন্য দুবাই যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুম্বই বিমান বন্দরে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে কিছু সময় ধরে জিজ্ঞাসাবদও করা হয়।
সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলা অস্বস্তি বাড়াল বলি অভিনেত্রীর। অভিনেত্রী জ্যাকনিল ফার্নান্দোজকে (Jacqueline Fernandez) আটকে দিল মুম্বই বিমান বন্দর (Mumbai Airport)। লুকআউট নোটিশ জারির কারণেই মুম্বই বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁক দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধা দেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrasekhar) মামলয় যোগ পাওয়া গেছে জ্যাকলিনের। অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল সুকেশ চন্দ্রশেখরের। সেই কারণেই তদন্তের জন্য জ্যাকলিনের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বলি অভিনেত্রী জ্যাকলিন একটি শো-এর জন্য দুবাই যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুম্বই বিমান বন্দরে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে কিছু সময় ধরে জিজ্ঞাসাবদও করা হয়। তারপরই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়ে। তবে তদন্তের কারণে তাঁকে দিল্লিতে সংস্থার অফিসে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার দিল্লির অফিসে হাজিরার জন্য তাঁকে সমন জারি করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তেমনই জানিয়েছে একটি সূত্র।
তদন্তকারী সংস্থা ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে এই মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। সুকেশের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হল তিহার থেকে বন্দি থাকা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছ থেকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার তুলে নেওয়ার নাম করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের আর্থিক লেনদেনেরও সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারীরা। সুকেজ জ্যাকলিনকে ৫২ লক্ষ টাকা দামের একটি ঘোটা আর ৯ লক্ষ টাকার একটি পার্শিয়ান বিড়াল দিয়েছিলেন। এছাড়াও ১০ কোটি টাকার উপহারও দিয়েছিলেন জ্যাকলিনকে। ইডির দাখিল করা ৭০০ পাতার চার্জশিটে তেমনই দাবি করা হয়েছে।
সুকেশের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বলিউড অভিনেতার যোগাযোগ রয়েছে বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। জ্যাকলিনের পাশাপাশি নোরা ফাতেহিরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডির আধিকারিকরা। কারণ সুকেশ দাবি করেছিল সে নোরাকে একটি বহুমূল্যের গাড়ি উপহার দিয়েছে। জ্যাকলিনের সঙ্গে জেরা করা হয়েছে তাঁর সহকারীদেরও। যদিও নোরার এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন তিনি সুকেশকে চেনেন না। অভিযুক্তের সঙ্গে তার কোনও ব্যক্তিগত যোগযোগ নেই।
বিচারাধীন হিসেবে দিল্লির রোহিনী জেলে বন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর। গত এক বছরের মধ্যে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে তোলাবাজিসহ সংশোধনাগারের ভিতর থেকে একটি ব়্যাকেট চালানোর অভিযোগে আরও ২০টি মামলা রয়েছে। সেই সুকেশের বাড়ি থেকে ইনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরের তল্লাশিতে যে পরিমাণে দামি দামি সামগ্রী পাওয়া গেছে তা দেখে মাথায় হাত পড়েছে কর্মকর্তাদের। তার সমুদ্রতীরবর্তী বাংলোটির মূল্যে প্রায় ১১০ কোটি টাকা।
Mamata In The Saamana: 'কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট-ভাবনা', সঞ্জয় রাউতের লেখায় মমতার মুম্বই সফর
Nagaland Fup: নাগাল্যান্ডের ঘটনা গণহত্যার সামিল, অসম রাইফেলসকে নিশানা বিজেপি নেতার