সংক্ষিপ্ত
সান্ধু আরও জানিয়েছেন, বিএসএফ সৈন্যরা সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেছে। অনুপ্রবেশকারীকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বারবার সীমান্ত অতিক্রম করতে নিষেধ করেছিল।
আন্তর্জাতিক সীমান্তে (International Border) বিএসএফ(BSF)-এর গুলিতে নিহত হয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) এক মহিলা অনুপ্রবেশকারী। সোমবার জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এসপিএস সান্ধু বলেছেন, সীমান্তে রীতিমত সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। তারাই রবিবার রাতে জম্মুর (Jammu)আরএসপুরা সেক্টরে মহিলা অনুপ্রবেশকারীকে আটকে দিয়েছে।
সান্ধু আরও জানিয়েছেন, বিএসএফ সৈন্যরা সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেছে। অনুপ্রবেশকারীকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বারবার সীমান্ত অতিক্রম করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু মহিলা সেই কথা শোনেনি। কিন্তু অনুপ্রবেশকারী সেই কথা না শুনে সীমান্তের বেড়ার দিকে ছুটে আসতে থাকে। সেই সময়ই অনুপ্রবেশকারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। বিএসএফএর পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। মহিলাকে বারবার সীমান্ত পার না হওয়ার আবেদন জানান হয়েছিল। কিন্তু মহিলা সেই কথা না শোনার জন্যই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষরা।
বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত রীতিমত সতর্কতা বাড়ান হয়েছে। এই এলাকায় একাধিকবার পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভারতের নিরাপত্তা রক্ষীজের সক্রিয়তায় তা একাধিকবার বানচাল হয়ে গেছে। যদিও পাকিস্তানের মদতসুষ্ট জঙ্গিরা হার মানতা নাজর। নতুন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা সীমান্ত এলাকায় সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভারেত অবৈধ উপায়ে অনুপ্রবেশের ছক কষছে। অনেকক্ষেত্রে সেগুলিও বানচাল করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা।
অন্যদিকে বর্তমানে উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনাও ক্রমশই বেড়েছে। তবে এবার জঙ্গেদের টার্গেট অমুসলিমদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরও যেমন হত্যা করা হয়েছে, তেমনই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকেও হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের মতে উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে জঙ্গিরা। জঙ্গিদমনে কাশ্মীরেও এনকাউন্টার বাড়িয়েছে প্রশাসন। যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
তবে সম্প্রতী উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে ঘিরে যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিবেশ। পুলিশের দাবি নিহত দুই ব্যবসায়ী জঙ্গিদের সহায্য করত। কিন্তু নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি তারা স্থানীয় বাসিন্দা, তাদের সঙ্গে জঙ্গিদের কোনও যোগ নেই।
এই অবস্থায় কিছুটা চাপে পড়েই জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) প্রশাসন শ্রীনগর এনকাউন্টারের ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের (magisterial inquiry) নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতেদের পরিবারের দাবি দুই ব্যক্তিই সাধারণ নাগরিক ছিল। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে নিহত দুই ব্যক্তি জঙ্গিদের সমর্থক ছিল। এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাসিস্ট্রেট বিতর্কিত পুলিশ অভিযানের তদন্ত করবেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট গর্ভমর মনোজ সিনহার কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে, অতিরিক্ত জেলা শাসক পর্যায়ের কোনও আধিকারিক এই ঘটনার তদন্ত করবেন। রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে।
PM Modi: 'হরহর মহাদেব' স্লোগান, কাশী বিশ্বনাথ করিডোরের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Pakistan Crime: পাকিস্তানে বৃদ্ধের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, ক্রাইম সিনে ঘুমে অচৈতন্য মহিলা