সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের করাচির এর সিনিয়র পুলিশ কর্তা জুবায়ের নাজির শেখ জানিয়েছেন তাঁরা একটি ফোন পেয়েছিলেন। সদর এলাকার একটি পুরনো অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের একটি ফ্ল্যাটের বাইরে একটি মানুষের হাতের কাটা কাটা অংশ পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। 

৭০ বছরের এক বৃদ্ধের দেহ টুকরো টুকরো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ফ্ল্যাটের বাইরে ও ভিতর থেকে। আর ক্রাইম (Crime) সিন থেকে ঘুমে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মহিলা বৃদ্ধকে হত্যায় মূল অভিযুক্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু মর্মান্তিক নয়, এক চরম ঘটনার সাক্ষী থাকল পাকিস্তান (Pakistan)। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের পুলিশ কর্তারা। 

পাকিস্তানের করাচির এর সিনিয়র পুলিশ কর্তা জুবায়ের নাজির শেখ জানিয়েছেন তাঁরা একটি ফোন পেয়েছিলেন। সদর এলাকার একটি পুরনো অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের একটি ফ্ল্যাটের বাইরে একটি মানুষের হাতের কাটা কাটা অংশ পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। তারপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেই সময়ে তাঁরা দেখেন একটি মানুষের শরীরের কাটা কাটা অংশ পড়ে রয়েছে পুরো ফ্ল্যাটবাড়ি জুড়ে। সেই ফ্ল্যাটেই এক মহিলা শুয়ে রয়েছেন। মহিলাকে তারা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রের খবর ৪৫ বছরের মহিলাকেই বৃদ্ধার হত্যাকাণ্ডের মূল অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কবে হত্যা করা হয়েছে ৭০বছরের বৃদ্ধাকে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান চসতি  সপ্তাহে বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রের খবর মহিলাকে গ্রেফতার করার অন্যতম কারণ হল মহিলার পরনের কাপড়ে রক্তে লেগে ছিল। যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি, হাতুড়ি ও অন্যান্য ভোঁতা অস্ত্রের সন্ধানও পেয়েছে তারা। 

পুলিশ জানিয়েছেন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রথমিক পর্বে মহিলা জানিয়েছে তার স্বামী মেহম্মদ সোহেল বৃদ্ধকে হত্যা করেছে। কিন্তু মহিলা নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিতে অস্বীকার করে। জানিয়েছে নিহত ব্যক্তি তার জামাইবাবু। পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদ পত্রিকা ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে মহিলার শরীরে রাসায়নিক কোনও ওষুধের প্রভাব ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর গ্রেফতারের পর থেকেই মহিলা অসম্ভব শান্ত রয়েছে। কোনও কথার তেমন উত্তর দিচ্ছে না। নিজেকে নির্দোশ প্রমাণ করারও তেমন তাগিদ নেই। তবে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিেছেন মহিলা প্রায়ই নিহত পুলিশের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটে থাকত। টাকা পয়সা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই সমস্যা হত। তারা লিভ-ইন পার্টনার ছিল বলেও দাবি স্থানীয়দের। তবে ধৃত মহিলা ও নিহত বৃদ্ধের মধ্যে কোনও আইনি সম্পর্ক ছিল কিনা তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সদর এলাকায় দুটি আদালা আলাদা পরিবারে তারা বাস করত বলেও জানিয়েছে পুলিশ। 

Camel Beauty Contest: উটের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, কৃত্রিমভাবে সুন্দর করায় বাদ ৪০টি উট

Gautam Raghavan: হোয়াইট হাউসের বড় দায়িত্বে ভারতীয়, জো বাইডেনের প্রধান উপদেষ্টা গৌতম রাঘবন

Farmer Protest End: যুদ্ধ জয়ের উল্লাস, দীর্ঘ ১৫ মাস পরে ঘরের পথে আন্দোলনকারী কৃষকরা