সংক্ষিপ্ত
- পাল্টা মার কাশ্মীর পুলিশের
- এক অপারেশনে খতম লস্করের শীর্ষ নেতা
- খতম এক পাকস্তানি জঙ্গিও
- মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালায় পুলিশ ও সিআরপিএফ
জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, কাশ্মীরে পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ঢুকে গুলি করার মত নাশকতার ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল ভূস্বর্গ। এবার পাল্টা মার দিল কাশ্মীর পুলিশ। এক অপারেশনে খতম লস্কর ই তইবার শীর্ষনেতা ও এক পাকিস্তানি জঙ্গি। লস্করের যে শীর্ষ নেতাকে নিকেশ করা গিয়েছে, তার নাম আবরার। মঙ্গলবার ভোররাতে এক এনকাউন্টারে কাশ্মীর পুলিশ খতম করে এই লস্কর কমান্ডারকে।
মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানান, শ্রীনগরের মালুরা পারামপোরায় এই এনকাউন্টার শুরু হয়। সেখানেই নিকেশ হয় আবরার। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর ছিল জঙ্গিদের বিষয়ে। তারপরেই হামলা চালানো হয়। প্রথমে গোটা এলাকা নাকাবন্দি করে ফেলে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ। হাইওয়ের ওপরে একাধিক জায়গায় ঘাঁটি গাড়ে যৌথ বাহিনী। কারণ খবর মেলেছিল হাইওয়ের ওপর হামলা চালানো হতে পারে।
পারামপোরা এলাকায় সন্দেহ হওয়াতে একটি গাড়িকে দাঁড় করানো হয়। পুলিশ দেখেই গাড়ির ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তি নিজের ব্যাগ থেকে গ্রেনেড বের করে হামলা চালাতে যায়। নাকা পার্টি সঙ্গে সঙ্গে হামলা চালায়। ধরে ফেলা হয় ওই ব্যক্তি ও গাড়ির চালককে। ওই ব্যক্তিই লস্করের শীর্ষ নেতা আবরার। তার মাস্ক খুলে ফেলে তাকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে।
জানা যায়, তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন মালহোরার এক বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে। ওই শীর্ষনেতার থেকে উদ্ধার হয় পিস্তল, হ্যান্ড গ্রেনেড। মালহোরার ওই বাড়িতে আরও অস্ত্র রয়েছে বলে সে স্বীকার করে। ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভিতরে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালায়। গুলিতে তিনজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হন। গুলি লাগে আবরারেরও। এই এনকাউন্টারেই আরেক পাক জঙ্গি খতম হয়। ওই বাড়িটি থেকে দুটি এ কে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, ২৭শে জুন রবিবার একাধিক নাশকতা দেখে কাশ্মীর। জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, জম্মু থেকে সেদিনই উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক, এরই সঙ্গে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে প্রাণঘাতী হামলা চালাল জঙ্গিরা। পরপর নাশকতামূলক কাজে কেঁপে ওঠে ভূস্বর্গ।