- Home
- India News
- গাড়ির ভিতরে ৬টি দেহ আর বাইরে মৃত্যুর অপেক্ষায় ১, ২০ কোটি ঋণ নিয়ে সপরিবারে আত্মঘাতী মিত্তালরা
গাড়ির ভিতরে ৬টি দেহ আর বাইরে মৃত্যুর অপেক্ষায় ১, ২০ কোটি ঋণ নিয়ে সপরিবারে আত্মঘাতী মিত্তালরা
Panchkula suicide: গাড়ির ভিতরে ৬টি দেহ আর বাইরে একজন মৃত্যুর অপেক্ষা। ২০ কোটি টাকার দেনা নিয়ে সপরিবারে আত্মঘাতী প্রবীণ মিত্তাল, পঞ্চকুলার অপরাধ উস্কে দিল দিল্লির বুরারি হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি

অন্ধকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি
রাত তখন ১০টা কি সাড়ে ১০ট। নিঝুম রাত। ফুটপাতের একপাশে দাঁড়িয়ে ছিল একটি গাড়ি। বাইরে একজন বসে ছিল। যা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারাই জিজ্ঞসাবাদ করতে বাইরে থাকা ব্যক্তি জানিয়েছিল আর মাত্র পাঁচ মিনিট। তারপর তিনিও মারা যাবেন।
গাড়ির ভিরতে ৬টি দেহ
স্থানীয়রা গাড়ির বাইরে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে অবাক হয়ে যান। ব্যক্তিকে গাড়ি নিয়ে বাজারে যেতে বলেন। কিন্তু সেই সময় এক প্রত্যক্ষদর্শী উত্তেজনেরবসে গাড়ির কাচে ঝোলান তোয়লে সরিয়ে দেন। তাতেই প্রকাশ্যে আসে অবাক কাণ্ড। গাড়ির ভরতে তখন পড়ে রয়েছে ৬টি দেহ।
পুলিশে খবর
গাড়ির ভিতরে ৬টি দেহ দেখ দেখার পর স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেয়। আসে অ্যাম্বুলেন্সও। কিন্তু যে ব্যক্তি বলেছিলেন তিনি আর মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মারা যাবেন সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে মারা যান। তেমনই জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কী এই ঘটনা। একই পরিবারের ৭ সদস্যের একই সঙ্গে মৃত্যু। যা মনে করিয়ে দিল্লির বুরারি হত্যাকাণ্ড। যেখানে একই পরিবারের ১১ সদস্যের একই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া চিঠি
গাড়িতেই উদ্ধার হয় একটি চিরকুট। সেখান থেকেই জানা যায় মৃত পরিবারের সদস্যরা হলেন মিত্তল পরিরারের। হরিয়ানার বাসিন্দা।
আত্মহত্যার কারণ
চিরকুট অনুযায়ী মিত্তাল পরিবারের আত্মহত্যার কারণ মাথার ওপর থাকা ২০ কোটি টাকার ঋণ। আর ঋণ মেটাতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় গোটা পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা
পুলিশ জানিয়েছে মৃতরা হলন, প্রবীণ মিত্তল, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান। প্রবীণ মিত্তালের বৃদ্ধ বাবা ও মা-এর দেহ উদ্ধার হয়েছে গাড়ি থেকে। পুবিশ জানিয়েছে, দেরাদুনের বাসিন্দা প্রবীণ মিত্তাল। তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাগেশ্বর ধামে একটি আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ফেরার পথেই আত্মহত্যা করেন সপিরাবের।
চিরকুট
গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুট অনুযায়ী মিত্তল পরিবারের শেষকৃত্য করার অধিকার প্রবীণ মিত্তলের আত্মীয় সন্দীপ আগরওয়াল। চিরকুটে আরও জানান হয়েছে তাদের গোটা পরিবারের আত্মহত্যার সঙ্গে প্রবীণ মিত্তলের শ্বশুরবাড়ির কোনও যোগ নেই। পুলিশ যেন তাদের বিরক্ত না করে।
অর্থ সংকট
পুলিশ জানিয়েছে হিমাচল প্রদেশের বাদ্দিতে একটি স্ক্র্যাপ কারখানা ছিল মিত্তাল পরিবারের। কিন্তু সেটি চালাতে পারনি তারা। ব্যাঙ্ক কারখানা বাজেয়াপ্ত করে।
৬ বছর পঞ্চকুলায়
তারপর পঞ্চকুলা ছেড়ে দেরদুনে চলে আসে মিত্তালরা। টনা ৬ বছর পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কোনও সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। তারপর পঞ্জায়েব খারারে আর হরিয়ানার পিঞ্জোরে থাকে। সেখানেই প্রবীণ মিত্তলের শ্বশুরবাড়ি।
দেহরাদুনে প্রত্যাবর্তন
প্রায় এক মাস আগে দেহরাদুনে ফিরে আসে। হিসারের বারওয়ালার বাসিন্দা পঞ্চকুলার সাকেত্রি অঞ্চলে ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন। ব্যাংক তার দুটি ফ্ল্যাট এবং গাড়িও জব্দ করেছে। আর সেই কারণেই আত্মহত্যা বলেও মনে করছে পুলিশ।

