সংক্ষিপ্ত
আধাসামরিক বাহিনীতে চাকরি প্রত্যাসীদের একটি দল গত ১লা জুন যাত্রা শুরু করেছিলেন। চাকরির দাবিতে নিয়ে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই দিল্লিতে এসেছে। দলে রয়েছে ২২ জন মহিলাসহ মোট ১৫০ জন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে মাত্র আটজন দিল্লিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
চাকরি প্রার্থীদের একটি দল ১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দিল্লি এসেছে। তাদের একটা লক্ষ্য চারকির দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার। চাকরি প্রার্থীরা ২০২১ সালে পরীক্ষায় পাশ করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগপত্র হাতে পায়নি বলেও অভিযোগ তাদের। এরা প্রত্যেকেই আধাসামরিক বাহিনীতে যোগ দান করবে।
আধাসামরিক বাহিনীতে চাকরি প্রত্যাসীদের একটি দল গত ১লা জুন যাত্রা শুরু করেছিলেন। চাকরির দাবিতে নিয়ে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই দিল্লিতে এসেছে। দলে রয়েছে ২২ জন মহিলাসহ মোট ১৫০ জন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে মাত্র আটজন দিল্লিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। বাকিরা এখনও রাস্তাতেও রয়েছে। তারা বুধবার দিল্লিতে পৌঁছতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লিতে যে আট চাকরি প্রার্থী পৌঁছেছে তারা এদিন প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়াতে একটি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়। তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল। আন্দোলনকারীদের দাবি তারা স্টাফ সিলেকশনের জেলারেল পরীক্ষা ২০১৮ সালে পাশ করেছেন। বাকি পরীক্ষাগুলী ২০২১ সালে পাশ করেছে। কিন্তু তারপরেও তাদের হাতে কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি।
ওড়িশার বাসিন্দা ২৫ বছরের রশ্মিতা জানিয়েছেন তিনি ও অন্যান্য ১৫০ চাকরি প্রার্থী ১ জুন থেকে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন। প্রতিজিন প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ তাঁরা পাঁটে হেঁটেই অতিক্রম করেছেন। তিনি আরও বলেছেন দিল্লি আসতে তাদের সময় লেগেছেন দুই মাস। আর এই দুই মাস চাকরির দাবিতে তারা খোলা আকাশের নিচেও রাত কাটাতে বাধ্য় হয়েছেন। অনেক সময় গুরুদ্বারের দরজা ব্য়াঙ্কোয়েল খুলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও স্থানীয়রাই তাঁবুর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন স্থানীয়রা খাবার আর জল দিয়ে তাদের সাহায্য করেছে। দীর্ঘ পথ অতিক্রমের সময় তাদের সহযোগী বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরেও তারা চাকরির দাবিতে দিল্লি যাত্রা অব্যাহত রেখেছিল।
রশ্মিতা আরও জানিয়েছেন তাঁদের একটাই দাবি এসএসসি জিডিকে ২০১৮ সালের নিয়োগের অধীনে ঘোষিত শূন্যপদগুলি পুরণ। তিনি আরও জানিয়েছেন পরীক্ষার পাশাপাশি শারীরিক ও মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও পাশ করেছেন তাঁরা। কিন্তু তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে তারা জানতে চান কেন তাদের সঙ্গে এজাতী অবিচার করা হচ্ছে।
রশ্মিতা জানিয়েছেন তাঁর বাবা শ্রমিক বর্তমানে অসুস্থ। মা দিনমজুরির কাজ করেন। দুই ভাই-বোন পড়াশুনা করেছে। তিনি এই চাকরির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু তারপেরও কেন তাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না- এই প্রশ্ন নিয়েই অমিত শাহের মুখোমুখি হতে চান। তিনি আরও জানিয়েছেন এই দুই মাসের পদযাত্রায় অংশ নেওয়ায় গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে কটাক্ষ করছে। অনেকেই তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কিন্তু এই অবিচার মেনে নিতে তিনি রাজি নন বলেই এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।
গত সপ্তাহে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভাকে জানিয়েছিলেন যে CAPFগুলিতে মোট ৮৪৪৫০ টি পদ শূন্য রয়েছে এবং তাঁর মন্ত্রক ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলি পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও, ছয়টি CAPF-তে শূন্যপদগুলির বিচ্ছেদ প্রদান করে, তিনি বলেন, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে ১৯২৫৪ টি, সশস্ত্র সীমা বালে ১১৪০২টি, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সে ১০৯০৮টি, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশে ৩১৮৭টি এবং আসাম রাইফেলে ৯৬৫৯টি শূন্যপদ রয়েছে। তিনি প্রবীণদের আরও জানান যে কনস্টেবলের (সাধারণ দায়িত্ব)২৫২৭১টি পদ পূরণের জন্য পরীক্ষা ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিল্লির দিকে যাত্রা করার আগে, বিক্ষোভকারী ছাত্ররা মার্চ মাসে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের সম্বিধান চকে ৭২ দিনের জন্য অনশন করেছিল। বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের একজন বলেছেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালে তাদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুই হয়নি। তাই তারা দিল্লি আসার সিদ্ধান্ত নেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে আমাদের অনেক আশা আছে।
রাত থেকে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর, তার আগেই চিন-আমেরিকার ঠান্ডা লাইড়া শুরু
অবশেষে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে মুখ খুললেন নির্মলা সীতারমণ, তাঁর বক্তব্যের মাঝেই ওয়াকআউট কংগ্রেসের
রহস্যের পরত খুলে মিশরে সন্ধান ৪৫০০ বছর পুরনো মন্দিরের , সূর্য মন্দিরের নিচে রয়েছে গোপন কুঠরি