সংক্ষিপ্ত
মহারাষ্ট্রের নির্দল সাংসদ বিশাল প্যাটেলের পর এবার বিহারের পাপ্পু যাদর কংগ্রেসকে নির্শর্ত ভাবে সমর্থন করার কথা জানিয়ে জোট সামিল হয়েছে। দুই সাংসদের অন্তর্ভুর্তির মধ্যেই ছয় সাংসদ নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের শিবিরে।
লোকসভায় এবার বেশ কিছুটা শক্তিশালী বিরোধী জোট। কিন্তু শক্তি কতদিন স্থায়ী হবে সেটাই প্রশ্ন। আর সেই কথা ভেবে ইতিমধ্যেই ঘুম ছুটছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট-এর শিবিরের। কারণ ইতিমধ্যে বিরোধী শিবিরের প্রায় হাফ ডজন সাংসদের মাথায় ঝুলছে শাস্তির খাঁড়া। যাতে আদালতের নির্দেশে তাদের দুই বছরেরও বেশি সময় জেল হতে পারে। যদিও ভোটের পর কিছুটা হলেও শক্তিশালী হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কারণ মহারাষ্ট্রের নির্দল সাংসদ বিশাল প্যাটেলের পর এবার বিহারের পাপ্পু যাদর কংগ্রেসকে নির্শর্ত ভাবে সমর্থন করার কথা জানিয়ে জোট সামিল হয়েছে। দুই সাংসদের অন্তর্ভুর্তির মধ্যেই ছয় সাংসদ নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের শিবিরে।
যে ৬ সাংসদকে নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে তাঁরা হলেনঃ
আফজল আনসারি- গাজিপুরের সাংসদ। গ্যাংস্টার হিসেবেই পরিচিত। মুখতার আসনারির ভাই। সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লড়াই করে জিতেছেন। ইতিমধ্যেই চার বছর জেল খেটেছেন। কিন্তু ইলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। জুলাই মাসে শুনানি। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় আনসারি তাহলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে।
ধর্মেন্দ্র যাদব- আজমগড়ের সাংসদ। চারটি ফৌজদারি মামলা চলছে। দুই বার তার বেশি বছর সাজাপ্রাপ্ত হলে সাংসদ পদ হারাতে হবে।
বাবু সিং কুশওয়াহারা- জৌনপুরের সাংসদ। NRHM কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মায়াবতী উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল।
রামভুয়াল নিষাদ- আটটি মামলা চলছে। সুলতানপুর থেকে মানেকা গান্ধীকে হারিয়ে তিনি সাংসদ হয়েছেন। একটি মামলা গ্যাংস্টার আইনে দায়ের করা হয়েছে।
বীরেন্দ্র সিং- উত্তর প্রদেশের চন্দ্রমৌলি কেন্দ্রের সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইমরান মামসুদ- সাহারনপুরের সাংসদ। একাধিক ফৌজদারি মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ভারত জোটের সাংসদদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি চলছে সেগুলি অধিকাংশই আর্থিক তছরুপ, ভীতি প্রদর্শন, গ্যাংস্টার - আইনের ধারায় দায়ের করা হয়েছে। এগুলিতে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করতে হবে। এর আগেও ফৌজদারী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এ সাংসদ পদ হারাতে হয়েছিল মহম্মদ আজন খান, খাবু তিওয়ারি, বিক্রম সাইনি, অশোর চন্দেলের মত রাজনৈতিক নেতাদের।