সংক্ষিপ্ত
- ১৯৯১ সালে আসাম থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি রাজ্যসভায় সাংসদ হন
- দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন
- ২০০৮ সালে দেশকে অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন
- আড়ম্বরহীনভাবেই রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে বিদায় নিলেন মনমোহন সিং
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর রাজ্যসভার সদস্যপদের মেয়াদ শেষ হল শুক্রবার। আসন্ন সংসদীয় বাজেট অধিবেশনে আর থাকবেন না তিনি। প্রায় ৩০ বছর ধরে রাজ্যসভার সদস্য থাকার পর গত শুক্রবারই ছিল তাঁর সাংসদ হিসাবে শেষ দিন।
শুধু রাজ্যসভার সদস্য হিসাবেই নয়, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একদা অর্থমন্ত্রী হিসাবে ২০০৮ সালে দেশকে অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে অসাম থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি রাজ্যসভায় সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। এরপর থেকে পর পর সাত বার ধরে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন।
একবার নয়াদিল্লি থেকে লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। তারপর আর কখনও লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেননি। কিন্তু এখন সমস্যা হল কংগ্রেস এখনই মনমোহন সিং-কে অন্য কেনও রাজ্যে পাঠাতে পারবে না, যেখানে রাজ্যসভার আসন খালি আছে। কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যসভার নির্বাচন হচ্ছে না।
তাঁকে কর্নাটক, ছত্তিশগড়, রাজস্থান বা পাঞ্জাবে পাঠানো গেলেও যেতে পারে, কিন্তু এই সমস্ত রাজ্যসভায় কেন্দ্রেও এখন কোনও আসন খালি নেই। দলের কাছে এখন কেবলমাত্র একটাই পথ খোলা আছে, সেটি হল, দলের অন্য কোনও সদস্যকে পদত্যাগ করিয়ে তাঁর স্থানে মনমোহন সিং-কে আনা। তবে কংগ্রেস দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দু-বারের জন্য নির্বাচিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এই উপায়ে রাজ্যসভায় বহাল রাখা যাবে না।
২০১৯-এ পুনরায় সরকার গঠনের পর সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৭ জুন। গত ২৮ বছরে এই প্রথমবার সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন না মনমোহন সিং।