সংক্ষিপ্ত
- রেলের জন্য় সেভাবে বড়সড় কোনও ঘোষণা নেই
- যদিও ঘুরপথে বেসরকারিকরণের প্রয়াস রয়েছে ষোলোআনা
- পিপিপি মডেলে ১৫০টি ট্রেন আর ৪টি স্টেশনের ঘোষণা
- তাহলে কি এলআইসি-র মতো ধীরে ধীরে বেসরকারি হাতে রেলও, প্রশ্ন বিরোধীদের
রেল নিয়ে সে অর্থে কোনও বড় ঘোষণাই নেই। যদিও ঘুরপথে বেসরকারিকরণের প্রচেষ্টা আছে ষোলোআনা।
শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট ভাষণে ২৭ হাজার কিলোমিটার রেলপথকে বিদ্য়ুদায়নের কথা ঘোষণা করলেন। ডিজেলের দূষণ কমাতে যা একরকম প্রত্য়াশিতই ছিল। সেইসঙ্গে সৌরশক্তি দিয়ে রেল চালানোর কথা বলা হল। তবে নতুন রেলপথ বা নতুন ট্রেন, সেভাবে কোনও কিছুরই ঘোষণা শোনা গেল না। পর্যটকদের জন্য় তেজসের মডেলে আরও কিছু ট্রেনের কথা শোনা গেল। অর্থমন্ত্রী বললেন, রেলের জমিতে নতুন নতুন সৌরবিদ্য়ুৎ প্রকল্প হবে।
বলা হল, পিপিপি মডেলে ১৫০টি নতুন ট্রেনের কথা আর সেইসঙ্গে ওই একই মডেলে ৪টি স্টেশনের কথা। যা শুনে বিরোধীদের মন্তব্য়, এবার এলআইসির মতো ঘুরপথে রেলের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে সরকার। তেজস দিয়ে যে বৃত্ত শুরু হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ করার পথে এগোচ্ছে সরকার। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই মোদী সরকার রেলকে ধাপে ধাপে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পথে হাঁটেন। যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ হয় দেশজুড়ে। বিরোধীদের বক্তব্য়, এশিয়ার একক বৃহত্তম নিগোয়কারী সংস্থা হল রেল। দেশের কোটি কোটি আমজনতা এর ওপর নির্ভর করেন। তাই রেলকে কোনও পরিস্থিতিতেই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া উচিত নয়। পিপিপি মডেল, অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি উদ্য়োগে নতুন-নতুন ট্রেন আর স্টেশনের কথা ঘোষণা করে কার্যত সেই পথেই হাঁটছে মোদী সরকার।