সংক্ষিপ্ত
- ভারতে ২৯তম করোনা রোগীর খোঁজ মিলল
- এক পেটিএম কর্মীর দেহে মিলল মারণ ভাইরাস
- সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হল গুরগাঁও ও নয়ডার দফতর
- বাড়ি থেকে আপাতত কাজ করবেন ই-ওয়ালেট সংস্থার কর্মীরা
ইতিমধ্যে বিশ্বের ৭০টি দেশের ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। ভারতেও ক্রমে নিজের থাবা বিস্তার করছে এই মারণ ভাইরাস। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের তালিকাটা। তারমধ্যে নবতম সংযোজন গুরগাঁওয়ের এক পেটিএম কর্মী। চলতি সপ্তাহেই ইতালি থেকে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে মিলল মারণ ভাইরাস। সফদরজং হাসপাতালে বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ২৪ বছর।
এদিকে ভারতীয় কর্মীর দেহে করোনা ভাইরাস মিলতেই সংস্থার নয়ডা ও গুরগাঁওয়ের অফিস বন্ধ করে দেয় ই-ওয়ালেট সংস্থাটি। দফতর শুদ্ধিকরণের পরেই ফের অফিস খোলা হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গেছে। দফতর বন্ধ থাকলেও ডিজিটাল লেনদেনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তারজন্য পেটিএম কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি কর্মী যাতে শীঘ্রই মেডিক্যাল পরীক্ষা করান সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ করোনা, আক্রান্ত ৯৫,০০০ বেশি মানুষ
এদিকে পেটিএনম কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস মিলতেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯। এদের মধ্যে অবশ্য ১৬ জন ইতালিয় পর্যটক। বাকি ১৩ জন ভারতীয় নাগরিক। এদের মধ্যে কেরলে আক্রান্ত ৩ জন অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে পেটিএম কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস মিলতেই একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা নিজেদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছে। ১৪ দিনের জন্য গুরগাঁওয়ের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে হাইপার-লোকাল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নিয়ারবাই। এই সময়ে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি চিন, হংকং থেকে ফেরত কর্মীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ৪৬ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, ফের জেটকর্তা নরেশ গয়ালের বাড়ি হানা দিল ইডি
টিসিএস এবং এইচসিএল টেকনোলজিসের মত আইটি সংস্থাগুলিও কর্মীদের করোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করছে বলে জানা যাচ্ছে।