সংক্ষিপ্ত
- জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতার বাড়িতে ইডি
- আর্থিক প্রতরণার অভিযোগে তদন্ত করতে হানা
- এর আগেও জেটকর্তার বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে ইডি
- গত বছর এপ্রিল থেকে বন্ধ জেট এয়ারওয়েজ
ফের বিপাকে পড়লেন জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। আর্থিক প্রতারণার মামলায় বুধবার গভীর রাতে তাঁর মুম্বইয়ের বাসভহবনে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। রাতভর চলে তল্লাশি।
নরেশ গয়াল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গয়ালের বিরুদ্ধে ৪৬ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি এফআইআর করে একটি ট্র্যাভেল সংস্থা। সেই এফআইআরে জেট এয়ারওয়েজ বিমানসংস্থাটিরও নাম রয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার রাতে ইডি আধিকারিকরা হানা দেন জেটকর্তার বাড়িতে।
কিছুদিন আগেই বৈদেশিক মুদ্রী নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে ইডির নজরে পড়েছিলেন নরেশ গয়াল। আবুধাবির বিমানসংস্থা এতিহাদ এয়ারওয়েজ জেট সংস্থা সংস্থায় ১৫০ মিলিয়বন ডলার বিনিয়োগ করে, যাতে জেট কর্তার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। টানা আটঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল জেটের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালকে। এবার জেটকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা প্রতিরোধ আইন অর্থআৎ পিএমএল-এর অধীনে পৃথক তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ করোনা, আক্রান্ত ৯৫,০০০ বেশি মানুষ
২০১৪ সালে জেট প্রিভিলেজ লিমিটেড-এর শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিমান সংস্থা এতিহাদ এয়ারওয়েজ। পরবর্তীকালে অভিযোগ ওঠে, ওই চুক্তিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম মানা হয়নি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ০১৯ সালের প্রথম দিকে তদন্ত শুরু করে ইডি। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে নরেশ গয়ালকে ইডির দফতরে তলব করা হয়। সেখানে প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতাকে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের দাবি আবুধাবির বিমানসংস্থাটির সঙ্গে জেটের চুক্তিতে মূল ভূমিকা ছিল নরেশ গয়ালেরই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে (ফেমা) তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের, ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে শহরে
২০১৯ সালের অগস্টে নরেশের মুম্বই ও দিল্লির বাসভবন সহ মোট ১২টি জায়গায় অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অভিযানে জানা যায় যে নরেশ গয়াল তাঁর বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি অর্থ রেখেছেন। ২০১৯ সালের মে মাসে, নরেশ গয়াল এবং তাঁর স্ত্রীকে লন্ডন রওনা হওয়ার সময় মুম্বই বিমানবন্দরে আটকান অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়।
গত বছরের বছরের মার্চে জেট এয়ারওয়েজের ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন নরেশ গয়াল। প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিতে হয় জেট এয়ারওয়েজকে। সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় গত বছর এপ্রিলে নিজেদের সমস্ত উড়ান বন্ধ করে দেয় বিমান সংস্থাটি। । রাতারাতি কাজ হারাতে হয় প্রায় ২০ হাজার কর্মীকে। তার আগে পর্যন্ত ভারতের বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা ছিল জেট এয়ারওয়েজ।