সংক্ষিপ্ত

পেগাসাসকাণ্ডে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জানানো হয়েছে এই কমিটিতে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং দুজন সাইবার বিশেষজ্ঞ।

দেশের শীর্ষ আদালতে(Supreme Court) জোর ধাক্কা খেল কেন্দ্র নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার পেগাসাস মামলায়(Pegasus Case) কার্যত কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের। আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে এই মামলায় কেন্দ্র যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা অসম্পূর্ণ ও অস্বচ্ছ। এই রিপোর্টে মোটেও সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, এদিন পেগাসাসকাণ্ডে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি (Probe Committee) গড়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জানানো হয়েছে এই কমিটিতে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং দুজন সাইবার বিশেষজ্ঞ। 

বুধবার ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে যে পেগাসাস মামলায় মিথ্যার তদন্ত এবং সত্য আবিষ্কারের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারণ গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন পরীক্ষা করা দরকার এই মামলায়। তিন সদস্যের এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রভেন্দ্রন, অলোক জোশী এবং সন্দীপ ওবেরয়। সুপ্রিম কোর্ট কমিটিকে অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিতে বলেছে।

উল্লেখ্য, জুলাই মাসে ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ানসহ প্রায় ১৬টি মিডিয়া পেগাসাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ফোন থেকে তথ্য চুরি করা হয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় এক ডজনেরও বেশি দেশ এই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি চালাচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে জানান হয়েছে। সবকটি রিপোর্টেই প্রায় সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।

পঞ্জাবে নয়া চ্যালেঞ্জের মুখে কংগ্রেস, ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আজ

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ইসরায়েলি সংস্থা জানায় যে তথ্যসূত্রের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে। এমনকী প্রতিবেদনে যে দাবিগুলি করা হয়েছে, তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এই দাবিগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি রিপোর্টটি। তাই মানহানির মামলা করা হবে। 

ইসরায়েলের সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও (NSO) গ্রুপ পেগাসাস তৈরি করেছে। ২০১৬ সাল থেকেই এটি সক্রিয়। এটি একটি সফটওয়ার। ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা পেগাসাস ব্যবহার করে তথ্য ফাঁস করা হয়েছে বলে একগুচ্ছ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে এনএসও গ্রুপ জানিয়েছে তাঁদের তৈরি করা প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক পাচার বিরোধী পদক্ষেপ, নিখোঁজ ও অপহৃত শিশু উদ্ধার, নারী পাচার রোধের মত কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। শত্রু দেশের মারণ ড্রোনের গতিবিধি চিহ্নিত করা সম্ভব তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে। 

উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় ফোন থেকে তথ্য চুরির জন্য পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছিল। তালিকায় রয়েছে সাংবাদিক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সমাজকর্মীরাও। ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত এই সফ্টওয়্যার বিক্রি সীমাবদ্ধ ছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। আরও জানানো হয়, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, নেটওয়ার্ক১৮-য়ের মত সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন ও কাশ্মীরের নেতাদের টার্গেট করা হয় হ্যাকিংয়ের জন্য।