সংক্ষিপ্ত
বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা অন্যতম এনডিএ শরিক নেতা নীতীশ কুমার। বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়েই তিনি পেগাসাস কণ্ডের তদন্তের দাবি জানালেন।
এবার পেগাসাস কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবি জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শরিক দল জনতা দলের প্রধান নীতীশ কুমার। সোমবার, বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে বিরোধীদের সুরেই তিনি বলেছেন, 'মানুষকে বিরক্ত এবং হেনস্থা করার জন্য এই ধরনের কাজ করা উচিত নয়। পুরো বিষয়টা প্রকাশ্যে আনা উচিত।'
গত জুন মাসে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকজন রাজনীতিক, সাংবাদিক, বিচারপতির উপর ইসরাইলি স্পাইওয়্যার দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয়ের নাম-ও রয়েছে। এই নিয়ে ভারতে এখন বিশাল রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সফটওয়্যার বিক্রেতা এনএসও সংস্থা আবার জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারকে এবং সরকারি সংস্থাগুলিকে এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করে। এর ফলে এই বিকর্কে ঘৃতাহুতি পড়েছে।
এই নিয়ে বাদল অদিবেশনে সংসদ উত্তাল হয়েছে বিরোধীদের বিক্ষোভে। সংসদে এই নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল তারা। তবে সরকার পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কোনও নজরদারি করা হয়নি। এদিন নীতিশ কুমার কিন্তু বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে 'অবশ্যই' তদন্ত করা উচিত কিনা। তিনি জানান, টেলিফোন ট্যাপিং নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, বিষয়টি সংসদেও উঠেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন রয়েছে। তাই এটি নিয়ে আলোচনা করা উচিত এবং অবিযোগগুলি খতিয়ে দেখা উচিত। পুরো বিষয়টি জনসাধারণের সামনে আনা উচিত। তিনি আরও জানান, এই কাজগুলো কীভাবে হয়, কেউ জানে না। তাই, ট্যাপ যে হয়নি সেই বিষয়ে কোনও 'গ্যারান্টি নেই'। তাই পুরো বিষয়টিই তদন্ত করা উচিত এবং প্রতিটি দিক বিচার করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন - প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই E-RUPIর সূচনা, নতুন ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করার উপায় জানুন
আরও পড়ুন - নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কী, সবার সামনে ফাঁস করে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর
আরও পড়ুন - লাদাখ ইস্যুতে রণে ভঙ্গ দিচ্ছে চিন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে যৌথ বিবৃতির কথা জানাল ভারত
বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস কেলেঙ্কারির বিশেষ তদন্তের দাবি জানিয়ে পেশ করা বেশ কয়েকটি আবেদনের শুনানি হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এন রাম এবং শশী কুমার, সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস এবং আইনজীবী এম এল শর্মা। তারা চাইছেন, এই স্পাইওয়্যারের লাইসেন্স সরকার পেয়েছে কিনা, কিংবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নজরদারি চালানোর জন্য এটা তারা ব্যবহার করেছে কিনা, তা সরকারকে প্রকাশ করার নির্দেশ দিক আদালত। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ভোট কুশলি প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, দুই বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এক প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু বলে জানিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ১৪২ জনেরও ফোন নম্বর রয়েছে এই তালিকায়।