সংক্ষিপ্ত
সাহেবপুর কামাল ব্লকে, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর উপর একটি সেতু তৈরি করা হয়েছিল, যার উপর দিয়ে মানুষ সহজেই নদী পার হতে পারে। কাজ শুরুর আগেই রবিবার সেতুর কিছু অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।
উদ্বোধনের আগেই হুড়মুড়িয়ে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুর্নীতির তত্ত্ব সামনে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ে। তবে গর্বের বিষয় এই সময়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। সেতু ভেঙে পড়ার পর তদন্তে আসা দলকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তাড়িয়ে দেয়। কর্মরত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ও বিহার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় মানুষ।
সাহেবপুর কামাল ব্লকে, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর উপর একটি সেতু তৈরি করা হয়েছিল, যার উপর দিয়ে মানুষ সহজেই নদী পার হতে পারে। কাজ শুরুর আগেই রবিবার সেতুর কিছু অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এটা সৌভাগ্যের বিষয় যে দুর্ঘটনার সময় কোনো গ্রামবাসী সেতুর কাছে ছিল না। একইসঙ্গে সেতু ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সেতু ভেঙে পড়ার পর গ্রামে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়
ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা হৈচৈ শুরু করেন। এই খবর পাওয়া মাত্রই পাটনা থেকে নাওয়ার্ডের নোডাল অফিসার সহ পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন আসেন। তাঁরা জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। একই সময়ে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেতু ভেঙে যাওয়ার সময় যে আধিকারিকরা এসেছিলেন, তারা কেবল খাবার সরবরাহের জন্যই এসেছেন। এই সেতুটি গ্রামের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর দাবি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। সরকার তা মেনে নিলেও এতেও দুর্নীতি হয়েছে এবং সেতুটি ব্যবহারের আগেই ভেঙে পড়ে। একই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের নিয়ে তদন্ত করতে আসা দলকে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সাহেবপুর কমল ব্লকের বিষ্ণুপুর আহকের কাছে নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ চলছিল। এই সেতু চালু হওয়ার বিষয়েও কাজ অনেকদূর এগিয়েছিল। কিন্তু সেতুটি চালু হওয়ার আগেই ভেঙে যায়। এ কারণে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এখন পর্যন্ত গ্রামবাসীরা বিভিন্ন দপ্তরের অনেক অফিসারকে তাড়া করেছে যারা তদন্তের জন্য গ্রামে পৌঁছেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী-নাবার্ড প্রকল্পের আওতায় এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। ২০১৭ এর মধ্যে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলেও,ব্রিজ তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই এর সামনের অংশে দেখা দিয়েছিলো ফাটল। যাত্রী সুরক্ষার তাগিদে বিষয়টি সেতু নির্মাণকারী সংস্থার দৃষ্টিগোচরে আনা হলে , কর্তৃপক্ষ নড়ে ছোড়ে বসলেও ,সেতুর রক্ষনা বেক্ষন কতটা ঠিকই মতো করেছেন তারা সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আকৃতি তোলা চৌকি ও বিষাণপুরের মাঝের এই সেতু হঠাৎ ভেঙে পড়ায় সেখানকার স্থানীয় আরজেডি বিধায়ক সত্যানন্দ সম্বুদ্ধ ওরফে লালন যাদব বলেন, 'সেতু নির্মাণে গাফিলতি হয়েছিল। সকালে ভেঙে পড়েছে সেতুটি। উদ্বোধন না হওয়ায় এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।'