সংক্ষিপ্ত

 

  • জনগণ বিরোধীদের ওপর আর আস্থা রাখছে না 
  • মোদীর নেতৃত্বের ওপরেই আস্থা রেখেছে 
  • দক্ষিণের রাজ্যেও সাফল্য পাচ্ছে বিজেপি 
  • কৃষক আন্দোলন নিয়েও বিরোধীদের তোপ 

বিরোধীদের মিথ্যাচার আর ভণ্ডামি বুঝতে পেরেছে সাধারণ মানুষ। আর সেই কারণেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রত্যাখ্যান করছে তারা। কর্ণাটকের গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে মতামত জানাতে গিয়ে একথাই বলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি আরও বলেন সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের ওপরেই পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। 


নতুন তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলন ও ২০২০ সালের প্রথমে নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলেন নিয়েই তিনি নিশানা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উস্কানির জন্যই  এজাতীয় আন্দোলন হচ্ছে। বিরোধীরাই সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁর দাবি কৃষি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ দেশের জনগণ সমর্থন করছে। তিনি আরও বলেন সরকার সমস্যা মেটাতে আলোচনায় আন্তরিক। কৃষকদের দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পুরণে তাঁর দল দায়বদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন রাজীব চন্দ্রশেখর। কৃষকদের বিভ্রান্ত করতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মিথ্যাচার করেছে বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিজেপি ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, বিধানসভা, উপ নির্বাচন থেকে শুরু করে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে জল লাভ করছে বিজেপি। কর্ণাটকের ৫৫.৪ শতাংশেরও বেশি গ্রামপঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। ৫৩ শতাংশেরও বেশি বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাজীব চন্দ্রশেখরের কথায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধীদের সব মিথ্যাচারকে উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বের ওপরে আস্থা রেখেছিলেন। আর সেই কারণেই সাফল্য এসেছে গেরুয়া শিবিরে। তিনি  আরও বলেন কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ১৭ টির মধ্যে ১৪ টিরও বেশি বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে বিজেপি। রাজীব চন্দ্রশেখরের কথায় দেশের মানুষ বারবার বার্তা দিচ্ছে যে তাঁরা উন্নয়ন আর সুশাসন চায়। আর সেই কারণেই তারা মোদীর ওপরেই আস্থা রেখেছে।