সংক্ষিপ্ত
গোয়েন্দা আধিকারিকরা আর সাইনিখেশের কথা জানতে পারে। তারপরই গোয়েন্দারা তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সময়ই তাঁর বাবা আর রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন ছেলে ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করেছে।
রাশিয়ান সেনাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) করার জন্য অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন ভারতীয় ছাত্র(Indian Student) । আর সাইনিখেশ, জর্জিয়ান ন্যাশানাল লিজিওনে যোগ দিয়েছিলেন। যখন রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল সেই সময় থেকেই ভারতীয় ছাত্র যুদ্ধ করে চলেছেন। কিন্তু কিছু দিন আগেই কোয়েম্বাটনের এই বাসিন্দা দেশে ফিরে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তাঁর বাবা ও মায়ের কাছে।
কিছুদিন আগে গোয়েন্দা আধিকারিকরা আর সাইনিখেশের কথা জানতে পারে। তারপরই গোয়েন্দারা তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সময়ই তাঁর বাবা আর রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন ছেলে ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করেছে। তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন। সেই সময়ই তাঁর বাবা ছেলে যে বাড়ি ফিরতে আসতে চাইছে তাও জানিয়েছে।
জর্জিয়ান ন্যাশানাল লিজিয়ন হল একটি আধাসামরিক ইউনিট। যার অধিকাংশ সদস্যই জর্জিয়ার বাসিন্দা। কিন্তু বিদেশি কিছু সদস্যও রয়েছে। সূত্রের খবর আর ররিচন্দ্রন দিন তিনেক আগে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেই সময়ই ছেলে বাড়ি ফিরতে চায় বলেও জানিয়েছেন। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আর সাইনিখেশকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা বিষয়টির ওপর বিদেশ মন্ত্রক নজর রেখেছে বলেও সূত্র মারফত জানা গেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine wa) ১৯ দিনে (19 Days) পড়ল। কিন্তু রাশিয়ান সেনাদের(Russian Army) আক্রমণে ক্রমশই বিপর্যস্ত অবস্থা ইউক্রেনের (Ukraine)। একের পর এক বড় শহরে যুদ্ধের সাইরেন বেজেই যাচ্ছে। রাশিয়ার সেনা বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের (Kyiv) কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে বাকি শহরগুলিতে শুরু হয়েছে দেদার বোমাবর্ষণ। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr zelensky) উপদেষ্টা কিয়েভকে অবরুদ্ধ শহর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কোনঠাসা অবস্থাতেই ইউক্রেন জানিয়েছেন এখনই তারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়। যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
রুশ সেনা বাহিনীর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বেসামরিক এলাকায় বোমা বর্ষণ করছে। ইউক্রেনের বাকি শহরগুলিও টার্গেট করেছে রুশ সেনা। শনিবার সকালে কিয়েভ ও বাকি বড় শহরগুলিতে বিমানহানার সাইরেন বেজে ওঠে। শুরু হয় অবিরাম গুলি ও বোমা বর্ষণ। পশ্চিমের দেশগুলিকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে রুশ সেনা কিয়েভের চারদিকে ঘিরে ফেলেছে। এদিনই পূর্ব ইউক্রেনের ডিনিপ্রোরের কাছে মাইকোলাইভ, নিকোলাইভ ও ক্রোপিভনিটস্কিতে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে কিয়েভ প্রশাসন জানিয়েছেন।