সংক্ষিপ্ত
- পিএম কেয়ারস ফান্ডে প্রথম অনুদান প্রধানমন্ত্রীর
- দিয়েছিলেন ২.২৫ লক্ষ টাকা
- পিএমও সূত্রে পাওয়া এই খবর জানাগেছে
- এপর্যন্ত তাঁরা অনুদান দেওয়া অর্থের পরিমাণ ১০০ কোটির বেশি
মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ও করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাসে দাঁড়াতে তৈরি হয়েছিল পিএম কেয়ারস ফান্ড। শুরু থেকে এই তহবিল নিয়ে একের পর এক বিতর্ক দানা বাঁধছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন পিএম কেয়ারস ফান্ড তৈরির পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের পকেট থেকেই ২লক্ষ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। ওই সরকারি আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, শিশুদের পড়াশুনা, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য ও গঙ্গা পরিষ্কার প্রকল্পের জন্য অবদেন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর। এপর্যন্ত সেক্ষেত্রে তাঁর অনুদানের পরিমাণ ১০৩ কোটি টাকা।
পিএম কেয়াসর ফান্ডের বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি। গতকালই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিলেন পিএম কেয়ারস ফান্ড তৈরির মাত্রা ৫ দিনের মধ্যেই ৩০৭৬ কোটি টাকা অনুদান জমা পড়েছিল। আর তহবিলটি মাত্র ২.২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এই তথ্য সামনে আসার পরই কংগ্রেস নেতা পিএম কেয়ারস ফান্ডে যেসব ব্যক্তি বা সংস্থা অনুদান দিয়েছিলেন তাঁদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরই এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক কর্তা শুধু মাত্র প্রধানমন্ত্রীর নামই জানিয়েছেন ঘনিষ্ট মহলে।
প্রধানমন্ত্রী এপর্যন্ত দেওয়া অনুদানঃ
২০১৯ সালে কুম্ভমেলার নিকাশি কর্মীদের জন্য ২১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত উপহার ও স্মারকগুলি নিলাম করে পাওয়া টাকা নমামি গঙ্গে প্রকল্পে জমা দেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে সিওলে শান্তি পুরষ্কার হিসেবে প্রাপ্ত ১.৩ কোটি টাকা। স্মারক নিলামের ৩.৪০ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে পাওয়া উপহার নিলামের ৮৩.৩৫ কোটি টাকা।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ই প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মীদের মেয়েদের শিক্ষার জন্য ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে ২১ টাকা দিয়েছিলেন।
কন্যা কেলভানি তহবিলে দান করেছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া উপহার নিলামের ৮৯ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণ
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে পেশ করা হলফনামায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মোট সম্পদের পরিমাণ ২কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা।
যারমধ্যে রয়েছে ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট।
গান্ধীনগরে তাঁর বাড়ির মূল্য ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা।