সংক্ষিপ্ত
মোদীকে গিজার পিরামিড সম্পর্কে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনেক কিছু জানতে দেখা গেছে। গিজার পিরামিড হল মিশরের বৃহত্তম পিরামিড। এটি ফ্যারাও খুফুর সমাধিস্থল।
দুই দিনের মিশর সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তিনি মিশরের রাজধানীর কাছেই গিজার মহান পিরামিডগুলি পরিবর্দশন করেন। মিশরের এই পিরামিডগুলির সপ্তাশ্চর্যের একটি। যা দেখতে প্রতি বছরের বিশ্বের বহু মানুষ । প্রথমমন্ত্রী হিসেবে এটাই প্রথম মিশর সফর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফরে তিনি ঘুরে দেখেন বিখ্যাত গিজার পিরামিড।
মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মডবাউনের উদ্যোগে এদিন মোদী উত্তর মিশনের আল জিজাহ ( গিজা)র কাছে নীল নদীর পশ্চিমতীরে যান। সেখানেই পাথুরে মালভূমিতেই রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত গিজার পিরামিড। তিনটি পিরামিড রয়েছে এইখানে।
এই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মোদীকে গিজার পিরামিড সম্পর্কে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনেক কিছু জানতে দেখা গেছে। গিজার পিরামিড হল মিশরের বৃহত্তম পিরামিড। এটি ফ্যারাও খুফুর সমাধিস্থল। যিনি দীর্ঘদিন আগে মিশরের রাজবংশের সদস্য ছিলেন।
খ্রিষ্টপূর্ণ ২৬ শতকের গোড়ায় প্রায় ২৭ বথর ধরে পিরামিডটি তৈরি হয়েছিল হলে দাবি করেছে ঐতিহাসিকরা। প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম পিরামিড এটি। প্রাচীন এই পিরামিডের বহু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও অনেকটাই অক্ষত রয়েছে। আর সেই অংশই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করবেন। চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন মিশনের প্রেসিডেন্ট। স্বাধীনতার পর জোট নিরক্ষেপ আন্দোলনের সময় থেকেই মিশরের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন মিশরের রাষ্ট্রপতি। সেই আবহেই রবিবার মোদী বৈঠকে বসতে চলেছে তাঁর সঙ্গে। সূত্রের খবর অনুপস্থিতির বিষয় নিয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
শনিবার রাত ১০ট ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মোদী মিশরের গ্র্যান্জ মুফতির সঙ্গে দেখা করেন। মিশরের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। এই সফরেই প্রধানমন্ত্রী ১১ শতকে নির্মিত আল হাকিম মসজিদও পরিবর্শন করেন। রবিবার বেলা ১টা নাগাদ প্রাচীন এই মসজিদে গিয়েছিলেন মোদী। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ প্রধানমন্ত্রী যাান হেলিওপালিস ওয়ার সিমেন্টিতে। সেখানে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। নিহত সেনারা মিশরকে রক্ষাকরার জন্যই আত্মত্যাগ করেছিল। এটি একটি স্মৃতিসৌধ, যা কমনওয়েলথ দ্বারা নির্মিত হয়েছে। ৩৭৯৯ জন ভারতীয় সেনার স্মারক এটি। এঁরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিশরের বিভিন্ন স্থানে লড়াই করে মৃত্যু বরণ করেছিলে। আজই তাঁর দেশে ফেরার কথা।
আরও পড়ুনঃ
'খাবার জল নেই, বাড়ি নেই, ত্রিপল চেয়েও পাইনি, ভোট প্রচারে অনুব্রত-হীন বীরভূমে ক্ষোভের মুখে শতাব্দী