সংক্ষিপ্ত

এবার মোদীর হাতিয়ার The Kerala Story। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি নিয়েই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্ণাটকের নির্বাচনী জনসভায় দ্যা কেরলা স্টোরি (The Kerala Story) সিনেমাটির প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে চড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বোমা, বন্দুক আর পিস্তলের শব্দ শোনা যায়। কিন্তু ভেরত থেকে সমাজকে দুর্বল করার কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের আওয়াজ শোনা যায় না। তিনি আরও বলেন, আদালতও এই ভয়ঙ্কর প্যাটার্নকে চিহ্নিত করে ইস্যু করেছে।

বর্তমানে গোটা দেশেই চর্চা হচ্ছে The Kerala Story নামের সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি নিয়ে। এটিকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্ণাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইস্যু করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে The Kerala Story। এই ছবিতেই প্রকাশ পেয়েছে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রে সুন্দর রাজ্য কেরলের পরিশ্রমী আর মেধাবী মানুষদের নির্মম পরিণতি। নরেন্দ্র মোদী কেরল স্টোরি সিনেমার কথা উল্লেখ করে বলেন কংগ্রেস বরাবরই সন্ত্রবাদীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

মোদী বলেন, 'দেশের দুর্ভাগ্য যে আজও কংগ্রেস এই সন্ত্রাসের ধারার সঙ্গে রয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা সমাজকে ধ্বংস করছে।' কংগ্রেসের সন্ত্রাসবাদী প্রবণতা রয়েছে, যারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে কংগ্রেস পিছনের দরজা দিয়ে রাজনৈতি চুক্তি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। উল্লেখ্য The Kerala Story নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য বিচারপতি এন নাগারেশ ও সোফি থমাসের সমন্বয় গঠিত কেরল হাইকোর্টের বেঞ্চের সঙ্গে অনেকটাই মিলে গিয়েছে। কারণ এই ছবিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে রাজি হয়নি কেরল হাইকোর্ট।

যদিও বিরুদ্ধবাদীদের দাবি ছবিটি কাল্পনিক। আদেশটি পাশ করার সময় বিচারপতি নাগরেশ চলচ্চিত্র ট্রেলারগুলি দেখায় সময় বলেছিলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ট্রালারে কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য আপত্তিকর কিছু নেই। আদালত উল্লেখ করেছে যে নির্মাতারা দাখিল করেছে তারা অপরাধমূলক টিজারটি বাদ দিয়েছেন, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে কেরলার ৩২ হাজার মহিলকে ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদান করানোর জন্য জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। আর তাদের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য করা হয়েছে।

কেরলের মহিলাদের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে ঘটনাগুলিকে আবিষ্কার করা ও তা চিত্রিত করা হয়েছে এই ছবিতেয কেরলের সিপিআই এম ও কংগ্রেসের মতে ফিল্মটি মিথ্যা দাবি করে যে ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। আর কেরলের মহিলাদের জোর করে উগ্রপন্থী করা হয়েছে। এই মহিলারা ভারত আর বিশ্বের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত - এই দাবিও কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে দুই দল।