সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের সময় প্যারিসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফরাসী প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্স সফরে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের সময় প্যারিসে পৌঁছেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফরাসী প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেওয়া নৈশভোটে অংশ নেবেন তিনি। তবে তার আগে মোদী ফরাসি সেনেটর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ফ্রান্স সফরে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বাস্তিল দিবস উদযাপনে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার আগে তাঁর কার্যালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে জানান হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর এই ফ্রান্স সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রান্স - ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে। এই সফরে দুই দেশের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বেশ কিছু চুক্তি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। মোদী এই সফরে ফ্রান্সে বসপবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে দেকা করবেন। দুই দেশের নেতৃত্বস্থানীয় সিইও ও বিশিষ্ট ফরাসি ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করবেন। ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ১৩ ও ১৪ দুই দিনের সফরে ফ্রান্সে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই দিন ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্স সফরের আগেই দিল্লিতে ফরাসী কূটনীতিক উমানুয়ের বন দেখা দেখা করেছিলেন জাতীয় উপদেষ্ট অজিত ডোভালের সঙ্গে। গত বৃহস্পতিবার তিনি দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার বাস্তিল দিবস। বাস্তিল দিবসের প্যারেডে সম্মানিত অতিথি হবেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্স সফর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সাউথব্লক সূত্রের খবর প্রতিরক্ষা নিয়ে এগুচ্ছ বিষয়ে কথাবার্তা ও চুক্তি হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের মধ্যেই। বর্তমান ভারতের দুই প্রতিপক্ষ চিন আর পাকিস্তান। এই দুই দেশের মোকাবিলা করার জন্য ভারতকে স্থল ও আকাশ- শক্তিতে যেমন উন্নত হতে হচ্ছে তেমনই নৌশক্তিতেও পারদর্শীতা বাড়াতে হচ্ছে। আর এই তিনটি ক্ষেত্রেও ফ্রান্স যথেষ্ট শক্তিশালী।
রাফাল যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করেছে ফ্রান্স। ভারত-ফ্রান্স স্কোর্পেন সাবমেরিনের উন্নতি নিয়ে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে গুজরাটে C-295 কৌশলগত পরিবহন বিমান তৈরির জন্য এয়ারবাস চুক্তির কারণে ভারতের প্রতিরক্ষাখাতে ফ্রান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছে। এটি উল্লেখযোগ্য যে রাশিয়ার পর ফ্রান্সই ভারতে প্রতিরক্ষাখাতে সবথেকে বড় অংশীদার। ২০১৭-২০২১ সালের মধ্যে ভারত যেসব দেশ থেকে সামরিক সামগ্রী আমদানী করেছে তারমধ্যে অন্যতম ফ্রান্স। ভারতের আমদানীর ২৭ শতাংশই হয়েছে ফ্রান্স থেকে । প্রথম রয়েছে রাশিয়া (৪৬ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১২ শতাংশ)। ১৯৯৮ সালে ভারতের পরমাণু পরীক্ষাকে যে মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ সমর্থন করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতন ফ্রান্স।
আরও পড়ুনঃ
Delhi Flood: যমুনার জলে বিপর্যস্ত জাতীয় রাজধানী, বানভাসী দিল্লিতে খাবার জলের তীব্র হাহাকার