সংক্ষিপ্ত

মাত্র ৮ বছর আগে ইন্দোর শহরের যে জায়গাতে ছিল আবর্জনার পাহাড় এখন সেখানেই তৈরি হয়েছে আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। এটির নাম রাখা হয়েছে গোবর্ধনপ্ল্যান্ট (Gobordhan Plant)। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, উদ্ভীদ আবার নতুন করে বিশ্বকে বাঁচতে শেখাবে। যাঁরা গবাদি পশু রাখেন তাদেরও সমস্যা দূর হবে। 

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে (Indor, MP) এশিয়ার সবথেকে বড় বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্টের (BIO-CNG Plant) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আগামী দিনে ইন্দোর সারা বিশ্বের কাছে ক্নিনসিটি নামে পরিচত হবে। তার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানসহ রাজ্যের প্রথমসারির নেতৃত্বয 

মাত্র ৮ বছর আগে ইন্দোর শহরের যে জায়গাতে ছিল আবর্জনার পাহাড় এখন সেখানেই তৈরি হয়েছে আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। এটির নাম রাখা হয়েছে গোবর্ধনপ্ল্যান্ট (Gobordhan Plant)। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, উদ্ভীদ আবার নতুন করে বিশ্বকে বাঁচতে শেখাবে। যাঁরা গবাদি পশু রাখেন তাদেরও সমস্যা দূর হবে। কারণ এই সিএনজি প্ল্যান্ট আগামী দিনে দৈনিক ১০০ টক জৈব সার উৎপাদন করতে পারবে। তিনি আরও বলেন সিএনজি দূষণ কমাবে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্ল্যান্টের কাছে গোবর বিক্রি করে গবাদি পশুর মালিকরা বাড়তি আয় করতে শুরু করেছেবয আগানী দিনে ক্রয় ক্ষমতা আরও বাড়ান হবেয তিনি বলেন আগে গবাদি পশু নিয়ে প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হত স্থানীয়দের। এবার থেকে সেই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। 

গোবরধন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আবর্জনা নিয়ে ইন্দোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। এই শহরের পরিশ্রমী মানুষ অন্য রাজ্যগুলির কাছে একটি নতুন ধারনা তুলে ধরতে পেরেছে। ভারতের আরও অনেক শহর এজাতীয় প্ল্যান্ট তৈরির দিকে এগিয়ে আসবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন আবর্জনা নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিশ্ব। এখন ভারতীয়দের মূল ফোকাসই হবে বাড়ি, রাস্তা, শহরকে আবর্জনামুক্ত করা। এই কাজে নতুন পথ দেখিয়েছে ইন্দোর। তিনি বলেন ইন্দোরের এই আবর্জনা প্ল্যান্টটি একদিকে যেমন শহকে আবর্জনা মুক্ত রাখছে অন্যদিকে দুষণের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি ইন্দোরের মানুষ বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। তিনি আরও বলেন আবর্জনা সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে না ফেলে গত সাত বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে স্থায়ী সমস্যা সমাধানের পথ দেখিয়েছে ইন্দোর।