সংক্ষিপ্ত
Narendra Modi on RamNavami: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী। রবিবার দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সকাল সকাল তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রামমন্দিরের পুজোয় যোগ দেন তিনি। এ দিন রামেশ্বরমের সংযোগকারী দেশের প
Narendra Modi on RamNavami: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী। রবিবার দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সকাল সকাল তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রামমন্দিরের পুজোয় যোগ দেন তিনি। এ দিন রামেশ্বরমের সংযোগকারী দেশের প্রথম ‘ভার্টিকাল লিফট’ সেতুরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। যার মধ্যে অন্যতম হল এই বহুল প্রতীক্ষিত নতুন পাম্বান রেল সেতু। যা ভারতের প্রথম উল্লম্ব লিফট সমুদ্র সেতু নামে পরিচিত।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এবং এর কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করবেন। তিনি একই স্থান থেকে একটি ট্রেন এবং একটি জাহাজ পতাকা নেড়ে যাত্রা শুরু করাবেন। এই সেতুটি মূল ভূখণ্ডকে রামেশ্বরম দ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং উপকূলীয় পরিকাঠামোতে সংযোগ এবং উদ্ভাবনের একটি আধুনিক প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এই সেতু।
আরও জানা গিয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরাম বা পামবান দ্বীপকে জুড়তেই তৈরি হয়েছে এই নতুন রেলব্রিজ। সমুদ্রের উপরেই তৈরি হয়েছে নতুন সেতু। যা নির্মাণে খরচ পড়েছে মোট ৫৩৫ কোটি টাকা। গত মাসেই এই রেল সেতুতে হয়ে গিয়েছে প্রথম ট্রায়াল রান। এবার আজ রামনবমী দিনই উদ্বোধন হচ্ছে পামবান রেল সেতুর(Pamban Bridge)।
এই সেতুতে কী বিশেষ সুবিধা রয়েছে?
পামবান দ্বীপকে জুড়তে কেন্দ্র যে এই প্রথম রেলসেতু নির্মাণ করছে এমনটা নয়। ভারতীয় ভূখণ্ড ও ওই দ্বীপের মধ্যে রয়েছে একটি যানবাহন চলাচলের সেতু, যা ইন্দিরা পয়েন্ট নামে খ্য়াত। পাশাপাশি, রয়েছে পুরনো পামবান ব্রিজ। যা নানা যান্ত্রিক সমস্যার কারণে বন্ধ হয়েছে ২০২২ সালে। সেই পুরনো রেল ব্রিজটি বন্ধ হতেই নতুন ব্রিজ তৈরি করতে নেমে পড়ে কেন্দ্র। যা উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী মাসে। অত্য়াধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় খুব সহজেই প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে এই নতুন রেল সেতু হয়ে ছোটানো যাবে ট্রেনগুলি। পাশাপাশি, জাহাজ পারাপার করানোর জন্য মাঝখান থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে যেতে পারে ব্রিজটি।
এই রেলসেতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য
এই রেলসেতুর একটি বৈশিষ্ট্য হল এর ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল ভার্টিক্যাল লিফট স্প্যান, যা মাত্র ৫ মিনিটে উঁচু হয়ে যায়, যাতে জাহাজগুলো সুষ্ঠুভাবে চলাচল করতে পারে। এটি এক জন অপারেটর দ্বারা পরিচালিত হয় এবং সাধারণ আবহাওয়ায় নিরাপদে কাজ করতে সক্ষম হলেও, বাতাসের গতি ৫৮ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার বেশি হলে এটি চলবে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।