সংক্ষিপ্ত

 

  • মেয়ের বিয়েতে প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ রিক্সাচালকের
  • চিঠি দিয়ে নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
  • বারাণসী গিয়ে দেখা করলেন রিক্সাচালকের সঙ্গে
  • রিক্সাচালকের পরিবারের সকলের সদস্যেক খোঁজ নিলেন

নিজের মেয়ের বিয়ে নিয়ে সাধ থাকে অনেকেরই। তেমনি সাধ ছিল বারাণসীর রিক্সাচালক মঙ্গল কিওয়াতের। তাই কিছু না ভেবেই  খোদ প্রধানমন্ত্রীকে মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে ছিলেন দমরি গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল কেওয়াত। যেই গ্রামটি আবার দত্তক নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। হাজার ব্যস্ততার মাঝেই মঙ্গলের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের জাবাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সশরীরে আস্তে না পারলেও  রিক্সাচালক মঙ্গল কিওয়াতের মেয়েকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৮ ফেব্রুয়ারি সেই চিঠি এসে পৌঁছয় কিওয়াত পরিবারের কাছে। নব দম্পতি ও ওই পরিবারকে চিঠির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান মোদী। 

তবে চিঠি পাঠিয়েই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একদিনের সফরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে চরম ব্যস্ততার মাঝেও মঙ্গল কিওয়াতের খোঁজ নেন মোদী। শুধু খোঁজই নন মঙ্গলের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। বলেন, মেয়ের বিয়েতে আসতে পারেননি বলে দেখা করতে এসেছেন। মঙ্গলের পরিবারের সকল সদস্যের খোঁজ নেন মোদী। 

মঙ্গলের সঙ্গে দেখা করে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য তাঁর প্রশংসাও করেন  প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গল কিওয়াত নিজে প্রতি মাসে যা আয় করেন তার একটা মোটা অংশ গঙ্গা পরিষ্কারের কাজে ব্যয় করেন। এছাড়াও স্বচ্ছ ভারত অভিযানেও সক্রিয় ভাবে অংশ নেন। সেই বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর নজর এড়ায়নি। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহারে আপ্লুত বারাণসীর এই রিক্সাচালক। জানান," মেয়ের বিয়ের প্রথম নিমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পাঠিয়েছিলাম। আমি নিজে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নিমন্ত্রণপত্র দিয়ে আসি। কিন্তু আমি কখনও আশা করিনি যে ওই চিঠির কোনও প্রত্যুত্তর  পাব। তবে চিঠি পেয়ে  আমরা প্রত্যেকেই খুব উচ্ছ্বসিত”।  মঙ্গল আরও জানান, বিয়ে বাড়িতে যত লোক এসেছিল, তাঁদের সবাইকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর চিঠি দেখান।